বান্দরবানে ১৮ দল ও বিএনপির আলাদা সমাবেশ

স্টাফ রির্পোটার, বান্দরবান : 

বান্দরবানে ১৮ দল, বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠন আলাদা আলাদা ভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। অসংবিধানিকভাবে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রতিবাদে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকালে পৌর শপিং কমপ্লেক্স’র সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, কৃষকদল ও তৃণমূলদলের ব্যানারে কেন্দ্রীয় উপজাতীয় সম্পাদক মা ম্যাচিং প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পুর্নগঠিত সরকার সর্বদলীয়, নির্দলীয়, না অন্তবর্তীকালীন সরকার তা আওয়ামীলীগ জনগনকে বুঝাতে পারছে না। কিন্তু জনগন ও বিএনপি বুঝে গেছে আওয়ামীলীগ নির্বাচনের নামে নাটক করছে। জনগনের দাবী উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা প্রহসন মূলক নির্বাচন দিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসতে চায়।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, যদি শেখ হাসিনা গণ দাবী উপেক্ষা করে নিজের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেন, সে দিন থেকে প্রহসন মূলক নির্বাচনকে প্রতিহতের ঘোষণা দেন মা ম্যাচিং।

এসময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিউর রহমান মিঠন, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা নেত্রী পম্পিনে, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী, পৌর যুবদলের আহবায়ক আয়ুব খাঁন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার বাবলু প্রমুখ।

অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরী বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধয়াক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানবে না ১৮ দল। এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা এই একতরফা নির্বাচনে যাবো না। তিনি আরো বলেন, চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দেশ নেত্রী খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এখনো পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নিতে সক্ষম হননি। 

তিনি আরো বলেন, এক ব্যক্তির অধীনে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া কোন নির্বাচনই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না তা শেখ হাসিনা ভুলে গেছেন।

এসময় অন্যান্যদের মাঝে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাবেক সেক্রেটারী অ্যাড. কাজী মাহাতুল হোসেন যত্ন, যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রশিদ, পৌর জামায়াতের আমীর গোলাম মোস্তফা তাজ, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহিলা নেত্রী নিরুতাজ বেগম, ছাত্রদল সভাপতি সাবেকুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক দৌলতুল কবির খান সিদ্দিকী, ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি হারুনুর রশিদ, মৎস্য জীবীদল সভাপতি আবুল হাসেম, তাঁতীদল সভাপতি শ্যামল তংচঙ্গা, পৌর যুবদল  সভাপতি আবু বক্কর প্রমুখ।

সমাবেশের আগে ১৮ দল ও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন নিজেদের শক্তি প্রদর্শণে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।