parbattanews

বান্দরবানে ২১ হাজার মানুষকে গণটিকা: দুর্গম এলাকায় শুরু করা যায়নি

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। জেলার দুই পৌরসভাসহ সাত উপজেলার ৩৩ ইউনিয়নে একযোগে চলছে এই কর্মসূচি। শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের বালাঘাটায় বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে গণটিকার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সিভিল সার্জন ডা.অংসুই প্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন, প্যানেল মেয়র সৌরভ দাস শেখর’সহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান ও লামা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড এবং সাতটি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নে যারা করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। একদিনে জেলায় প্রায় ২১ হাজার মানুষকে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্গমতার কারণে জেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে টিকা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

গণটিকা কর্মসূচিতে টিকা নিতে পেরে অনেকের মাঝে উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। ইতিপূর্বে সরকারী নির্দেশনায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গণটিকা দিতে পারবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বান্দরবান জেলা শহরের একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাকেন্দ্রে হাজির হলেও রেজি: অজুহাতে ফেরত এসেছে।

সিভিল সার্জন ডা. অংসৈ প্রু মারমা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্গমতা কারণে জেলার রেমাক্রি, তিন্দুসহ, কুরুকপাতা ও প্রাংসা এলাকায় টিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে এসব দুর্গম এলাকায় করোনার টিকা পৌঁছানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২য় পর্যায়ে সিনোফার্মার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭২০ জন ১ম ডোজ এবং ১১০ জন ২য় ডোজ গ্রহন করেছে।

Exit mobile version