বান্দরবানে ৭ স্পটকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা

Bandarban pic-6

জমির উদ্দিন:

বান্দরবানের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরিকে বাদ দিয়ে ৭টি পর্যটন স্পটকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে সরকার। সংরক্ষিত পর্যটন এলাকায় পর্যটন ও পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যতিত অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।

বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি পর্যটন স্পটের ২৭২ দশমিক ৪৬ একর জমিকে সংরক্ষিত ঘোষণার পর স্পটগুলোর জায়গা পরিমাপ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে এবার পর্যটকদের বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে স্পটগুলোতে।

জেলার মেঘলা পর্যটন ৯০ একর, নীলাচল পর্যটন ১০০ একর, প্রান্তিক লেক ৩৮ দশমিক ৪৬ একর, বৌদ্ধ ধাতু জাদী (স্বর্ণ মন্দির) ৫ একর, শৈলপ্রপাত ১ একর, চিম্বুক পর্যটন ৫ একর এবং লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পর্যটন ৩৩ একরকে পর্যটন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেন।

প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, জমির মালিকানার কাগজপত্র না থাকার কারণে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেনি। জেলা প্রশাসনকে এই পর্যটন কেন্দ্রটির ভূমি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এদিকে নীলগিরি ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সূত্রটি।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শামীম হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর জায়গা পরিমাপ করে সংরক্ষণের পাশাপাশি পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। জেলার ৭টি পর্যটন কেন্দ্রকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা অনুপযুক্ত, প্রয়োজনীয় সংস্কার না করা, টয়লেট সুবিধা না থাকা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার দূরবীন না থাকায় পর্যটকরা তাদের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে আরো সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উপর জোর দেবার কথা বলেন।

জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সমস্যা নিরসন করা হলে পর্যটক সমাগম আরো বাড়ার পাশাপাশি সরকার এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবে এমন মত স্থানীয়দের তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন