বান্দরবান ঈদ বাজার: নেই আলোকসজ্জা ও ক্রেতার ভীড়

fec-image

ঈদের আর বাকি মাত্র ৮দিন। এখনো বান্দরবানে মার্কেটগুলোতে আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না। জমে উঠেনি ঈদ বাজার। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন পাহাড়ের ব্যবসায়ীরা। গত বছরের ন্যায় এবারো করোনার প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে।

জানা গেছে, এবারের ঈদ বাজার অন্যান্য বারের চেয়ে ভিন্ন। সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা হয়েছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক বেচাকেনার চেয়ে গত দুইদিন সামান্য বিক্রি বেড়েছে। তবে তা মুঠেও ঈদের বেচাকেনার মতো নয়। অন্যা সময় ঈদের ১৫দিন আগে থেকে বেচাকেনা বাড়তো। কিন্তু এবার করোনা মহামারীর ভয়ে ক্রেতারা ঘর থেকে বের না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিত্তশালীরা করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না আবার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ অর্থাভাবে মার্কেটে আসছেন কম। এই কারণে এবারের ঈদ বাজার জমে উঠেনি। তবে দু-একদিনের মধ্যে হয়তো কিছু মানুষ মার্কেটে আসতে পারে বলে ধারণা তাদের।

বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ী রশিদ আহম্মদ জানান, প্রতিবছর ঈদের দিন যতো ঘনিয়ে আসতো বিক্রি বাড়তো এবং প্রত্যেক দোকানে ভীড় দেখা যেতো। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সেই ভীড় নেই। যারা মার্কেটে আসছেন তাদের সরকারি নির্দেশনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সরেজমিনে বান্দরবান বাজারের চৌধুরী মার্কেট, পৌর সপিং মল, ঝুমুর মার্কেট, ফোর স্টার, তিন নম্বর গলি ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি দোকানে মালিক ও কর্মচারীরা বসে রয়েছেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অনেক দোকান ক্রেতা ও দর্শণার্থী শূণ্য দেখা গেছে। যে কয়েকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে তাতে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্রেতা ছোটদের কাপড়চোপড় কিনছেন। তবে জুতা সেন্ডেলের দোকানগুলোতে আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে।

কয়েকজন দোকান কর্মচারী পার্বত্যনিউজকে জানান, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবার বিশেষ কোন ড্রেস মার্কেটে আসেনি। এরপরও নতুন ডিজাইনের কিছু ড্রেস আনা হলেও ক্রেতা সংকটে রয়েছে মালিকরা। তারা আরও জানান, ঈদের আগে আলোক সজ্জায় মার্কেটগুলোতে উৎসব তৈরি হতো, বেচাবিক্রিতে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হতো মার্কেটেরগলিগুলোতে, কিন্তু এবার সেই আনন্দও ফিকে হয়ে গেছে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আলোকসজ্জা, ঈদ বাজার, ক্রেতার ভীড়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন