parbattanews

বান্দরবান জেলার লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা

লামা প্রতিনিধি:

মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া শুরু করেছে।

অনুপ্রবেশকারীদের সাথে স্থানীয় অধিবাসীদের ভাষাগত মিল থাকায় সহজেই লোকালয়ে মিশে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বড়ছন খেলা, ফুলতলী, সাপমারাঝিরি, কচুবুনিয়া, ঠান্ডাঝিরি, করিডোর ঘোনার নো ম্যান্স ল্যান্ডে ৩০ হাজার অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে পাহাড়ের অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।

তারা জীপ, টেক্সি, টেম্পু ভারা করে পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। বিজিবির কড়া পাহারার মধ্যেও সুযোগ বুঝে প্রতিনিয়ত অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে ।

বাইশারীর মানবাধিকার কর্মী আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থানকারী আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা অনেক পরিবার আলীকদমে এসেছেন মর্মে তিনি শুনেছেন।

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় রোহিঙ্গা পরিবার আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোকজন তাদের মানবিকতার দাবীতে আশ্রয় দিয়েছে।

রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু জানিয়েছেন, শিলেরতুয়া এলাকায় কিছু রোহিঙ্গা এসেছে বলে তিনি শুনেছেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক রবিবার বান্দরবান জেলা আইন শৃংঙ্খলা কমিটির সভায় বলেছেন, এই রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে। কোন রোহিঙ্গা যাতে বান্দরবানের সীমান্তে অবস্থান করতে না পারে এবং রোহিঙ্গাদের অহায়তত্বের সুযোগ বুঝে কেউ যাতে তাদের প্রতারিত করতে না পারে সে জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরো জানিয়েছেন, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করে তাদের সকলকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। কোন রোহিঙ্গাকে বান্দরবানের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

Exit mobile version