parbattanews

বালুখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৪ পরিবারকে ইপসার অর্থ সহায়তা

উখিয়ার পশ্চিম বালুখালীতে গত ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৪টি পরিবার প্রতি ৮ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-ইপসা। রবিবার (২৪ অক্টোবর) মোবাইল মানি ট্রান্সফার (বিকাশের মাধ্যমে) এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ‘ইউএমসিওআর’ এর সহায়তায় মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ ফিল্ড অফিসের কারিগরি সহযোগিতায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল একশান (ইপসা), “ইমার্জেন্সি এনএফআই-এস এন্ড ক্যাশ গ্র্যান্ট সাপোর্টস টু দ্যা মেসিভ ফায়ার এফেক্টেড পিপল ইন দ্যা ক্যাম্প এন্ড হোস্ট কমিউনিটিস ইন উখিয়া অফ কক্সবাজার” প্রকল্পের আওতায় সহায়তা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, উক্ত পরিবার বর্গের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে ৮টি আইটেম ১২অক্টোবর‘২১ ইং বিতরণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় গত ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ক্যাম্প-৮ ই এর ইনচার্জ আহসান হাবীবের উপস্থিতিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ৪২৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে বিছানা-বালিশের সেট এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রীসহ ১৩টি আইটেম বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫ জন প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী বান্ধব সামগ্রী বিতরণ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ২৫০ পরিবারের শিশুদের খেলনা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গত জুনে মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ ফিল্ড অফিসের আর্থিক সহযোগিতায় ইপসা অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৪টি হোস্ট কমিউনিটি এবং ২৯৮টি রোহিঙ্গা পরিবারের (ক্যাম্প ৮-ডব্লিউ) মধ্যে হাড়ি-পাতিল, কাপড়সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উল্লেখিত প্রকল্পের সমাপ্তি সভা ২৫ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভার প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পের সহায়তাগুলো দেরীতে হলেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ১৪৪টি পরিবারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল এবং উপকৃত হয়েছে। আশা রাখি, পরিবারের সদস্যরা সহায়তার যথাযথ ব্যবহার করবে। আমি এই জন্য দাতা সংস্থা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইপসাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে স্থানীয়দের চাহিদা মোতাবেক আরও প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য দাতা সংস্থাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

Exit mobile version