parbattanews

বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সচেতনতা বাড়াতে বাংলালিংকের সারা দেশে রোড শো

Rally Pic

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলালিংক বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশনের সচেতনতা বাড়াতে দেশ ৬৪টি জেলায় এক যোগে রোড শোর আয়োজন করেছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামন থেকে রোড শোটি শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। রোড শো-টি উদ্বোধন করেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, এমপি।

রোড শো শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রোড শো এবং সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর সিসিও শিহাব আহমাদ। জাতীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ করে সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতির উদ্যোগ নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

এ সময় তারানা হালিম এমপি বলেন, ভুয়া পরিচয় এবং নিবন্ধন না করে সিম কিনে অপরাধীদের ব্যবহার ঠেকাতে বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশন কাজ দ্র্রুত এগিয়ে চলছে। এ কার্যক্রম সফল করতে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের অ্যাকশন প্ল্যান নিয়েছে। আমি আশা করি, বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশনের সচেতনতা বাড়াতে দেশব্যাপি বাংলালিংক এর রোড শো রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে নতুন মাত্রা যোগ করবে”। তিনি আরও বলেন, “গ্রাহকের আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের কারিগরি সক্ষমতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেই। গ্রাহকের তথ্য খুচরা বিক্রেতাদের ডিভাইসে দেওয়ার পর তা আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে চলে যায়”।

অনুষ্ঠানে বাংলালিংক-এর সিসিও শিহাব আহমাদ বলেন, “বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশন বাংলাদেশের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ডিসেম্বর থেকে বাংলালিংক দেশব্যাপি সিম রি-ভেরিফিকেশনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করে যাচ্ছে। দেশের ৭টি বিভাগসহ সকল জেলায় বাংলালিংক-এর রোড শো বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশনের কাজকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেবে”।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বাংলালিংক-এর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগের শুরু থেকেই বাংলালিংক-এর কর্মী এবং গ্রাহকরা বায়োমেট্রিক সিম রি-ভেরিফিকেশনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক রি-ভেরিফিকেশন চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলালিংক বায়োমেট্রিক রি-ভেরিফিকেশন এক কোটির ৬০ লাখেরও বেশি ছাড়িয়েছে, যা বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৪৯%।

Exit mobile version