নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত’র অকাল মৃত্যুতে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ জুন থেকে তিন দিনব্যাপী কালো ব্যাজ ধারন, ১৮ জুন থেকে তিন দিনব্যাপী সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, ১৯ জুন বিকাল ৪টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কুরআন খতম, সন্ধ্যায় এতিমদের নিয়ে ইফতার ও ভোজ ও ২৩ জুন বিকালে দলীয় কার্যালয়গুলোতে শোকসভা।
শুক্রবার দুপুর ১.৫০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তার অকাল মৃত্যুতে জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ বহু বন্ধু-বান্ধব এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত (৫২) এর অকাল মৃত্যুতে জেলা সদরের জেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং জেলা ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলসহ সকল প্রকার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
চলতি বছরের ২মার্চ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত। কিন্ত ওই মুহুর্তে তার ব্রেন ক্যানসার ধরা পরায় প্রথমে এ্যাপোলো এবং পরে ভারতে নেওয়া হয়। আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতিতে ত্যাগী ও আপোষহীন নেতা হিসেবে পরিচিত মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত আন্দোলন করতে গিয়ে বহুবার কারাভোগ করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাতের অকাল মৃত্যুতে খাগড়াছড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাতের অকাল মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া পৃথক শোক বার্তা দিয়েছেন।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত’র অকাল মৃত্যুতে খাগড়াছড়ি রাজনৈতিক অঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তার পূরণ হবার নয়।