parbattanews

বিচারক ও আইনজীবিগণ মেডিয়েটর হলে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পাবে: প্রধান বিচারপতি

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
আদালতে মামলার জট কমাতে মেডিয়েশনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মেডিয়েটর হিসেবে বিচারক ও আইনজীবিগণ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করলে আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রিটা হ্রাস পাবে। সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ এবং ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে জুডিশিয়াল স্ট্রেথদিং (জাষ্ট) প্রকল্পের আওতায় মেডিয়েশন সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি মোঃ বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এ কথা বলেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারটায় রাঙামাটি পর্যটন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি এএইচএম সামসুদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলার জেলা দায়রা জজ ও অত্রাঞ্চলে কর্মরত এডভোকেটগণ উপস্থিত ছিলেন।

জ্ঞাত সম্মতি, স্বাধীন সিদ্ধান্ত, নিরপেতা ও গোপনীয়তা এই চারটি জিনিস মেডিয়েশনের মুলনীতি উল্লেখ করে কর্মশালায় এর উপর গুরুত্বারূপ করে জানানো হয়, মেডিয়েশন সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে যা আইনজীবিগণ মেডিয়েশনে প্রয়োগ করে।
মেডিয়েশন বিষয়ে পড়াশোনা আইনজীবিদের প্র্যাকটিসে পরিবর্তন নিয়ে আসে যখন তারা তাদের কায়েন্টদের প্রতিনিধিত্ব করে জানিয়ে কর্মশালায় আরো জানানো হয়, মেডিয়েশন এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে একটি নিরপে তৃতীয় পক্ষ দুই বা ততোধিক পরে মধ্যে একটি বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করে।

উভয় পরে মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করা, দ্বন্দ্বের মূল বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে সহায়তা করার পাশাপাশি উভয় পরে আগ্রহ, প্রয়োজন মিটাবার জন্য বিভিন্ন বিকল্প সমাধান সমূহ সৃষ্টি করায় দ্বন্দ্ব নিরসনে উল্লেখিত চেষ্ঠা সমূহ মেডিয়েশনের ভূমিকা জানিয়ে কর্মশালায় মেডিয়েশনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে আইন শিক্ষাক্রমে মেডিয়েশন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি মেডিয়েশনের উপর প্রশিণ এবং সমন্বয় সাধন করে কতগুলো মেডিয়েশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ এবং মনিটরিংয়ের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে কর্মশালায়।

Exit mobile version