parbattanews

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে  বিশ হাজার পিস ইয়াবা  উদ্ধার

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৬০,০০,০০০ (ষাট লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ৯ অক্টোবর রাতে অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ উত্তর-পশ্চিম দিকে অবরাং গোলপাতা এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ বেড়ী বাঁধের আঁড় নিয়ে গোপনে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত  ১১:৩০ মি. টহলদল অবরাং গোলপাতা নামক এলাকা দিয়ে ২ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে অবরাং গ্রামের দিকে যেতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই টহলদল তাদেরকে টারগেট করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।

দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত ব্যাগটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী আবরাং গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ধান ক্ষেতের মধ্যে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি ব্যাগ উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৬০,০০,০০০(ষাট লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী (১০ অক্টোবর ) দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী ও তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

Exit mobile version