parbattanews

বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলি, ২ ইয়াবা কারবারি নিহত

টেকনাফে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদককারবারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অজ্ঞাত দুই মাদক কারবারী নিহত এবং দুইজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। ৯ মার্চ ভোর রাতে টেকনাফের নাজির পাড়াস্থ নাফ নদীর বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে।

৯ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, মঙ্গলবার ভোর রাত প্রথম প্রহরের দিকে নাজির পাড়াস্থ নাফ নদীর বেড়িবাঁধ পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বিজিবির বিশেষ একটি টহল দল উক্ত এলাকায় কৌশলী অবস্থান নেয়।

কিছুক্ষণ পর ৫ জন লোক কাঠের নৌকাযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে দেখে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির নায়েক মাজহারুল ইসলাম (৩৬), সিপাহী রোমন মিয়া (১৯) আহত হলে বিজিবিও জানমাল এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ চালায়। প্রায় ৫-৬ মিনিটি গুলি বর্ষনের পর মাদক কারবারী দলের ৩ সদস্য নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে গেলে গোলাগুলি বন্ধ হয়।

এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ১টি, ধারালো কিরিচ ১টি সহ অজ্ঞাত গুলিবিদ্ধ আনুমানিক ৩৫ বছর এবং ২০ বছর বয়সী ২জনের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত দুই মাদক কারবারী ও আহত দুই বিজিবি সদস্যকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং গুলিবিদ্ধদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। নিহতদের পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version