বিজিবির সেক্টর সদরদপ্তর স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন: রামজাদি ও রাম মহাবিজয় মন্দিরের নামে ভূমি দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে বিজিবির সেক্টর সদরদপ্তর স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। সোমবার বান্দরবান প্রেস ক্লাব-এর সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাছা মং, ইউপি চেয়ারম্যান সাথোইছিং, মং শৈ প্রু প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বিজিবির সেক্টর সদরদপ্তর স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমি বাতিল করে অন্যত্র জমি অধিগ্রহণ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তারিকুল ইসলাম বলেন, বিজিবির সেক্টর সদরদপ্তর স্থাপনে তারাছ মৌজায় প্রায় ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ১০ একর খাস জমি, মৃত মংশৈঅং পেসকারের ১৬ একরের মধ্য প্রায় ১০ একর, খৃষ্টান মিশনারীর থেকে সাড়ে ৩ একর এবং অন্যান্য ব্যাক্তির দেড় একর মিলিয়ে সর্বমোট ২৫ একর অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া রামজাদি মন্দিরের নামে রেকর্ডিয় কোন ভূমি নেই। কিভাবে ১৫০-২০০ একর ভূমিতে এত বড় মন্দির স্থাপন করা হয়েছে তার জানা নেই।
বান্দরবান ৪নং পৌর কাউন্সিলর দীলিপ বড়ুয়া জানান, আমিনুল হকের কাছ থেকে ভূমিহীন বড়ুয়া সমিতির নামে ৩ একর ভূমি বায়নানামা করা হয়। কিন্তু রামজাদি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উ পঞঞা মহাথের তাদের ভূমি দখল করে রেখেছেন। উ পঞঞাকে প্রধান আসামী করে আরো ৪জনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জনের ভূমি রামজাদি কর্তৃপক্ষ জবরদখল করায় বান্দরবান জজ আদালতে মোট ৫টি মামলা চলমান রয়েছে।
নুমং প্রু জানান, নিজ এবং তার পিতা প্রয়াত মংশৈপ্রুর রেকর্ডিয় প্রায় ৪ একর ভূমি রামজাদি কর্তৃপক্ষ দখল করে রেখেছেন। ভূমি বিরোধ নিয়ে বান্দরবান জজ আদালতে মামলা চলছে।