বিজিবির ৮৩ তম ব্যাচ রিক্রুটদের সমাপনী কুচকাওয়াজ

 
স্টাফ রিপোর্টার :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বুধবার সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুলে ৮৩ তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। বিজিবি সূত্র জানায়, এ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন বিজিবি মহা-পরিচালক।
 
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আহম্মদ আলী এবং বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল এর কমানন্ড্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল আলম প্রধান অতিথির সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিজিটিসিএন্ডএস এর সকল সদস্য ও প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ৮৩তম রিক্রুট ব্যাচ এর নবীন সদস্যবৃন্দ, তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
 
প্রধান অতিথি ৮৩তম রিক্রুট ব্যাচ এর ১৪৯৮ জন নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিষয় ভিত্তিক ১ম স্থান অর্জনকারী ও সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিক এর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং সর্ব বিষয়ে সেরা নবীন সৈনিক সাইফুল ইসলামকে অভিনন্দন জানান। তাছাড়া জাঁকজমক পূর্ণ এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তিনি বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট, সকল অফিসার এবং অন্যান্য সকল সদস্যকে আত্মরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান। বিজিবি মহা-পরিচালক আজিজ আহমেদ বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে বাহিনীর সকল শহীদদের। তিনি বলেন, এই বাহিনীর দুই জন শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ বীরশ্রেষ্ট খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও এ বাহিনীর ৮ জন বীর উত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম এবং ৭৭ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রয়ারি পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্বজন হারা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিজিবি’র অপারেশনাল কর্মকাণ্ড বেগবান করতে এবং সীমান্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষে ৯৩৫ কিঃ মিঃ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিওপি পর্যায়ে সৈনিকদের যাতায়াত সহজ করত তিন শতাধিক মোটরযান, ১৭ টি জলযান এবং সীমান্তে টহল জোরদার করতে বিওপিগুলোতে ১,৪০৩ টি মোটরসাইকেল প্রদন করেছে এবং আরও ১৬৫ টি বিওপিতে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। বিদ্যুতবিহীন এলাকার ১৬৫ টি বিওপিতে সৌর প্যানেল স্থাপন, ২৫০ টি বিওপিতে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল হতে বিজিবি সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, মেয়ের বিবাহসহ বিভিন্ন প্রকার আর্থিক অনুদান, বিভাগীয় খরচে পবিত্র হজ্জ্ব পালন, সাতকানিয়া, খাগড়াছড়ি, চুয়াড়াঙ্গা ও ঠাকুরগাঁও-এ ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন, নতুন ৪ টি সেক্টর ও ৬ টি ব্যাটালিয়ন গঠন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বিজিবির কলেবর ও কার্যকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা আমাদের সকল দায়িত্ব অধিকতর দক্ষতার সাথে পালনে সক্ষম হবো। বিজিবি মহা-পরিচালক বলেন, বিজিবি সদস্যগন দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এ বাহিনীকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হবে।
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন