parbattanews

বিজয়ের মাসে বান্দরবান ভ্রমণে ৬০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা

রোমাঞ্চকর আর রহস্যময় জেলা বান্দরবান। তাই ছুটি দিনে সকলেই একবার হলেও যেতে চায় এই জেলায়। কম খরচে ভ্রমণ করতে বিজয়ের মাস উপলক্ষে বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য সপ্তাহব্যাপী ৬০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে হোটেল, মাইক্রোবাস-জিপ-পিকআপ ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বান্দরবান হোটেল অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান মাইক্রোবাস-জিপ ও রেস্তোরাঁ মালিক সভাপতি নাছিরুল আলম, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, বান্দরবান প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক মিনার।

সম্মেলনে অমল কান্তি দাশ বলেন, অনেক ত্যাগের ফলে এ মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। তাই বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশী সবার জন্য হোটেল, গাড়ি ও রেস্তোরাঁয় ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এ ছাড়া। এর মধ্যে হোটেলে ৩০ শতাংশ, মাইক্রোবাস-জিপে ২০ শতাংশ এবং রেস্তোরাঁয় ১০ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, যারা অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন তাদেরও ছাড়ের এ অংশ ফেরত দেওয়া হবে। সমিতির সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ছাড়ের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।

বান্দরবান জেলায় দেখার মতো জায়গাগুলো হলা:
১। নীলগিরি, ২। স্বর্ণমন্দির, ৩। মেঘলা, ৪। শৈল প্রপাত, ৫। নীলাচল, ৬। মিলনছড়ি, ৭। চিম্বুক, ৮। সাঙ্গু নদী, ৯। তাজিনডং, ১০। কেওক্রাডং, ১১। জাদিপাই ঝরণা, ১২। বগালেক, ১৩। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, ১৪। প্রান্তিক লেক, ১৫। ঋজুক জলপ্রপাত, ১৬। নাফাখুম জলপ্রপাত। এছাড়া বান্দরবানে কয়েকটি ঝিরি রয়েছে। যেমনঃ চিংড়ি ঝিরি, পাতাং ঝিরি, রুমানাপাড়া ঝিরি।

এতগুলো জায়গা একসাথে দেখা সম্ভব নয়। তবে বান্দবান শহরে থেকে, আশেপাশের ৭টি এলাকা- স্বর্ণ মন্দির, নীলগিরি, মেঘলা, নীলাচল, শৈল প্রপাত, মিলনছড়ি ও চিম্বুক ঘুরে আসা যেতে পারে।

Exit mobile version