parbattanews

বিট কর্মকর্তাসহ ৯ বনকর্মীকে গণপিটুনি : লুটকৃত অস্ত্র উদ্ধার

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং বনবিটের ভিলেজার পাড়ায় জবরদখলে নেওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ঘটনায় দুই বনবিট কর্মকর্তাসহ ৯ জন বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ছিনিয়ে নেওয়া হয় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র। এর পর তাদেরকে গাছের সাথে বেঁধে গণপিটুনি দেওয়া হয় একে একে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সাফারি পার্কের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় খোঁয়া যাওয়া বনকর্মীদের চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন আজিজনগর বনবিট কর্মকর্তা মো. আজহার আলী (৪০), হারবাং বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ (৪৫), ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট যথাক্রমে কামরুল আলম (৩৪), মো. ইউসুফ (২৯), মানিক চন্দ্র দে (৪২), ফরেষ্ট গার্ড নীলিমেশ বৈরাগী (৩৭) ও শওকত উল্লাহ চৌধুরী (৪২), সিপিজি সদস্য করিম দাদ (৫৫) ও শফি আলম (৫৫)।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারি তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে কয়েকজন বনকর্মী পালিয়ে এসে খবর দেয় সংশ্লিষ্টদের। পরে পুলিশসহ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয় মাটিতে শোয়া অবস্থায়।

হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহতাব উর রহমান বলেন,‘বনকর্মীদের উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে আক্রমণের সময় আত্মরক্ষার্থে চার রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়ে বনকর্মীরা। এ সময় একজন স্থানীয় লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে বলে শুনেছি। তবে সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় বনকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।’

Exit mobile version