বিদেশীদের কাছে বিউটিফুল বাংলাদেশকে পরিচিত করার কাজ করে যাচ্ছে- রাশেদ খান মেনন

বান্দরবানে তিনদিন ব্যাপী পার্বত্য লোকজ মেলা শুরু

 

Bandarban pic-1 18.10

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাহাড় ও সমতলের বসবাসকারী ১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক, জীবন মান, কৃষ্টি, ভাষা ও ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে বান্দরবানে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল এগারটায় পর্যটন স্পট নীলাচলে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্ট্যাচার্য্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইশরাত জামান, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্য সা প্রু, চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী বিভাগী প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, কক্সবাজার থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বিস্তৃতির জন্য পর্যটন শিল্প কাজ করে যাচ্ছে।

Bandarban pic-2 18.10

ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন শিল্প বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে বিউটিফুল বাংলাদেশ বলে ব্রান্ডিং করে পর্যটন শিল্পের প্রচারনায় নেমেছে পর্যটন মন্ত্রনালয়। ফলে বিদেশী পর্যটকরা ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের ভ্রমনে আগ্রহ্রী হয়ে উঠছে। এর ফলে আগামীতে পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের সমন্বয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয় তিন পার্বত্য জেলা আনন্দময় পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করতে বান্দরবানে ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে।

Bandarban pic-5 18.10

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ৪৭টি আদিবাসীর ২৫ লাখ জাতিগোষ্ঠীকে মূল স্রোতের সাথে একীভূত করা যাই এবং তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচারকে রক্ষা করা গেলে বাংলাদেশ সুন্দর ভাবে এগিয়ে যাবে। বান্দরবানে আদিবাসী-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে এইটি হচ্ছে বাংলাদেশর আসল রূপ। বান্দরবানেই প্রমাণ করে আকাশ ছুয়েছে ভূমি পাহাড় ছুয়েছে আকাশ অপার সৌন্দর্যের বাংলাদেশ’।

তিনি আরো বলেন, এই পরিবর্তন এখানে আরো যোগাযোগ বাড়াবে, এতে আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে, দুই তিন বছরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে, অর্থনৈতিক ভাবে পার্বত্য অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। এবং পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা দেয়া হবে।

ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় মারমা, চাকমা, গারো, মনিপুরী, বম, খাসিয়া, ত্রিপুরা, রাখাইন, মরং, লুসাই, তঞ্চগ্যা, হাজং, চাক ও খেয়াং ১৪টি সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

এদিকে বিকালে স্থানীয় রাজার মাঠে তিনদিন ব্যাপী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও চ্যানেল আই এর আয়োজনে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বান্দরবান পৌরসভা ও সেনা রিজিয়নের সহয়তায় আয়োজিত মেলায় উপজাতি ১৪টি সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন