parbattanews

বিদেশী মাদকে সয়লাব টেকনাফ সীমান্ত: একদিনে ৮৩ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস

teknaf-news-pic-bgb-17-10-16-2-copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

দেশে মাদক উৎপন্ন না হলেও বিদেশী মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে সীমান্ত শহর টেকনাফ। হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে ইয়াবাসহ হরেক রকম মাদক। ফলে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে যুব সমাজ। এসব মাদক পাচার হয়ে আসছে মিয়ানমার ও ভারত থেকে।

বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট, আন্দামান গোল্ড বিয়ার, কান্ট্রি ড্রাইজিন মদ,মায়ানমার মদ, জান্স ইগল মদসহ প্রায় ১৫-২০ রকমের মাদক পাচারের তালিকায় রয়েছে। পাচারকালে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি কর্তৃক গোটি কয়েক মাদক জব্দ কিংবা আটক হলেও বেশির ভাগ মাদক তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে সেবনকারীদের হাতে।  গত ২১ এপ্রিল হতে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মালিক বিহীন প্রায় ৮৩ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক জব্দ করে বিজিবি।

১৭ অক্টোবর সোমবার বেলায় ১২ টার সময় ২ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবু জার আল জাহিদের সভাপতিত্বে সদর দপ্তরে প্রাঙ্গনে মালিক বিহীন মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তানভীর আলম খান।

তিনি বলেন, দেশের মাদক উৎপাদন না হলে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকে ভরপুর হচ্ছে। এতে এদেশের যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিজিবি জওয়ানরা দিন রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাদক পাচারকারীদের আটক ও ধাওয়া করে মাদক আটক করতে সক্ষম হচ্ছে। তবুও অনেকে রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিশেষ করে ইয়াবা আটকে বিজিবি সফলতা অর্জন করায় পাচারকারী রুট পরিবর্তন করে এখন সাগর পথে সরাসরি চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদের ধরতে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। মাদক না বলুন, এই উক্তি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এবং মাদক পাচারকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ করে মিডিয়াকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ, মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকীর, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোমেনা আক্তার ও টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল মজিদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের তপন কান্তি শর্মা ও সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী প্রমূখ। এ সময় সরকারী কর্মকর্তা ও মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মাদক বিনষ্ট করণ অনুষ্ঠানে এর মধ্যে রয়েছে ৮০ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার টাকার ইয়াবা, ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫০ টাকার আন্দামান গোল্ড বিয়ার,  ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকার ডায়াব্লো বিয়ার, ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার হেয়ন কেইন বিয়ার, ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকার গ্লান মাস্টার মদ, ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকার ম্যান্ডেলা রাম মদ, ২২ লাখ ১৭ হাজার টাকার কান্ট্রি ড্রাইজিন মদ, ১৬ হাজার ৫০০ টাকার মায়ানমারের মদ, ৩৬ হাজার টাকার ব্লাক লেভেল মদ, ৫৪ হাজার টাকার গ্রান ক্লাসিক মদ, ৭০ হাজার ৫০০ টাকার হানকি বানিস্টার মদ, ৩৩ হাজার টাকার হাই কমিশন মদ, ৭০ হাজার টাকার ১০০ পারসেন্ট পিপার মদ, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার লেভেল-৫ মদ, ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টাকার বাংলা মদ, ৭১ হাজার ২০০ টাকার ফেন্সিডিল, ৪ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকার গাঁজা এবং ১ কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার মায়ানমারের বিভিন্ন প্রকারের সিগারেট ধ্বংস করা হয়।

Exit mobile version