মানিকছড়ির প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে বিদ্যুৎ বিল করা হচ্ছে মনগড়াভাবে। মিটার না দেখে বিল করায় বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। মিটার রিডারদের দূর্নীতি এখানকার আলোচিত বিষয় হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। মানিকছড়িতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। মনগড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
একাধিক গ্রাহক জানান, নিয়ম অনুযায়ী মিটার পরিদর্শকরা বাসাবাড়ি ঘুরে মিটার দেখে বিল করার বিধান থাকলেও বাস্তবে তারা করছেন উল্টো। অফিসে বসেই তারা তৈরি করছেন অতিরিক্ত বিল ও গড় বিল। ফলে বিলের সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কোনো সামঞ্জস্য থাকে না।
বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে অভিযোগ করলে ডিজিটাল মিটার না লাগানোর কারণে বেশি বিল আসছে বা এটা গড় বিল বলেই পাশ কাটিয়ে যান বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। ডিজিটাল মিটার লাগানোর পরও রিডিংয়ের চেয়ে দ্বিগুণ, তিন গুণ বিল করা হয়েছে অভিযোগ করলে বিদ্যুৎ বিভাগ পরের মাসে অ্যাডজাস্ট করা হবে এমনটা বলে হয়রানী করে যায় মাসের পর মাস। কিন্তু এডজাস্ট আর হয় না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, আমি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বসবাস করছি, অথচ কোন দিন আমার বাসায় গিয়ে মিটাররিডার প্রকৃত রিডিং সংগ্রহ করতে দেখি নাই! অফিস বসে মনগড়াভাবে বিল প্রস্তুত করছে। এসব অপকর্ম এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে! সম্প্রতি অবসর প্রাপ্ত চিকিৎসক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাসাবাড়ীতে মিটাররিডার না গিয়েই বিল প্রস্তুত করায় কারণে প্রায় ৫শ ইউনিট বেশি বিল আমি পরিশোধ করতে হয়েছে। অভিযোগ করার পর এখন প্রতিমাসে ব্যবহৃত ইউনিট কমিয়ে সমন্বয় করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ গ্রাহক তৈমুছ খান অভিযোগ করে জানান, আমার ঘর বন্ধ থাকা সত্বেও প্রতি মাসে আমার নামে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া আরো অনেককে একইভাবে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়েছে বলে একাধিক ভূক্তভোগী গ্রাহক জানিয়েছেন।
মানিকছড়ির আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন রিডিং বর্হিভুত বিলের বিষয়টির আংশিক স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ দিন এখানে মিটার রিডার পদটি শুন্য ছিল। ফলে খন্ডকালীন জনবল দ্বারা কাজ করতে হয়েছে। এতে কিছু গ্রাহকের ব্যবহৃত রিডিং এর সাথে সামান্য গরমিলের অভিযোগ এসেছে। বর্তমানে মিডার রিডার কর্মস্থলে আছে । এখন সরেজমিনে গিয়ে রিডিং দেখে বিল করা হচ্ছে। আশাকরছি অচিরেই রিডিং সমন্বয় হয়ে যাবে। কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।