parbattanews

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান

 

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (শুক্রবার) মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে মুখোমুখি হবে এ দু’দল। তবে এই দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে কে ফেভারিট তা এখনই বলা যাচ্ছে না!

কারণ এবারের বিশ্বকাপ ডার্ক হর্স উইন্ডিজরা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে একমাত্র দল হিসেবে ৪০০ এর অধিক রান করেছে তারা। অন্যদিকে শেষ ১০ ওয়ানডে ম্যাচে হারলেও পাকিস্তানের গায়ে তো সেই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা আছেই। তবে মুখোমুখি দেখায় বেশ এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোক সেটা বিশ্বকাপ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে।

চলুন এবার এক নজরে ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মুখোমুখি পরিসংখ্যানগুলো জেনে নেয়া যাক :

১. ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ১৩৩ বারের দেখায় উইন্ডিজদের জয় ৭০ ম্যাচে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জয় ৬০ ম্যাচে। বাকি ৩ ম্যাচ টাই।

২. বিশ্বকাপের আগে ১১টি আসরে ১০ বার মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। এখানেও ক্যারিবীয়ডের দাপট। পাকিস্তানের মাত্র ৩ জয়ের বিপরীতে তাদের জয় ৭টি ম্যাচে।

৩. পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৯/৪। ২০০৫ সালে অ্যাডিলেইডে ভিবি সিরিজে ব্রায়ান লারার অনবদ্য ১৫৬ রানের এই স্কোর পায় ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৭/৫। শারজায় ২০১৬ বাবর আজমের ১২৩ রানের কল্যাণে এই সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

৪. ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩ রান। ১৯৯৩ সালে কেপটাউনে এই লজ্জার স্কোর গড়ে পাকিস্তান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৩ সালে প্রভিডেন্সে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় উইন্ডিজরা।

৫. ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জাবেদ মিয়াঁদাদ (১৯৩০ রান)। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ডেসমন্ড হেইন্সের (২৩৯০ রান)।

৬. পাকিস্তানের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক সাঈদ আনোয়ার (১৩১ রান)। শারজায় ১৯৯৩ সালে এ কীর্তি গড়েন সাবেক এই ওপেনার। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক ব্রায়ান লারা (১৫৬ রান)।

৭. ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি ওয়াসিম আকরাম (৮৪টি)। এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন কার্টলি অ্যামব্রোস (৬৯)।

৮. পাকিস্তানের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার শহীদ আফ্রিদির। ২০১৩ সালে প্রভিডেন্সে মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে, উইন্ডিজদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার ফ্র্যাঙ্কলিন রোজের। ২০০০ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে ২৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন রোজ।

Exit mobile version