parbattanews

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যাশা নিয়ে ভারতে এসেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে পারেনি। সাত ম্যাচে ছয়টিতে হেরে এবারের আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংলিশদের। আজ আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৩ রানে হেরে সেমির আশা একেবারে শেষ হয়ে গেছে জস বাটলারের দলের।

এই হারে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা অনেকটা শঙ্কায় পড়ে গেল ইংল্যান্ডের। আর সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার সেমির স্বপ্ন আরো উজ্জ্বল হয়ে গেল।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশদের ইনিংস থামে ২৫৩ রানে। ইনিংসের প্রথম বলেই রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন জনি বেয়ারস্টো। তাঁকে বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। এরপর জো রুটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। স্টার্কের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন ১৩ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দাভিদ মালান ও বেন স্টোকস।

দুজনে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। কামিন্সের বলে আউট হয়ে মালান ফেরেন ৫০ করে এবং ৬৪ করা স্টোকসকে ফেরান জাম্পা।
এ দিনও হাসেনি জস বাটলারের ব্যাট। জাম্পার বলে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। মাঝে মঈন আলীর ৪২ এবং ক্রিস ওকস শেষ দিকে ৩২ করে আশা জাগালেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। অজিদের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।

এর আগে প্রথম ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস বড় করতে দেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। তবু রান এসেছে অজিদের স্কোর বোর্ডে। মারনাস লাবুশেনের সর্বোচ্চ ৭১ রানের সঙ্গে বাকিদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় অল আউট হওয়ার আগে ২৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৫ রান তোলা অজি দলে প্রথম আঘাত ১১ রানে। সে ম্যাচে ১০৯ করা হেড আজ সুবিধা করতে পারেননি। ১৫ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান ওকস। এরপর স্টিভ স্মিথের সঙ্গে লাবুশেনের ৭৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৪ রান করা স্মিথকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। এই লেগ স্পিনের পরের ওভারে ফেরেন জশ ইংলিস।

তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতক তুলে নেন লাবুশেন। সঙ্গে ক্যামেরুন গ্রিনের ৪৭, মার্কস স্টয়নিসের ৩৫ ও শেষদিকে অ্যাডাম জাম্পার ১৯ বলে ২৯ রানে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে ওকস সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।

Exit mobile version