parbattanews

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী টেকনাফের উমামা নিখোঁজ নাকি অপহৃত!

টেকনাফের তাহেরা আন্নাত উমামা (২০) নামের এক ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উমামা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী এবং টেকনাফের মিঠাপানির ছড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।

চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এশিয়া হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বের হয়। এরপর মামা মো. তাহের শাহ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পাঁচলাইশ থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ”আমার ভাগ্নি ভাহেরা জান্নাত উমামা ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯য় এশিয়া হাউজিং সোসাইটি স্থান হতে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। বিধায় বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।”

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসমাইল কালুর ছেলে ইউসুফ চট্টগ্রামে পড়াশোনা করার সুবাদে টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও চট্টগ্রামে পড়ুয়া তাহেরা জান্নাত উমামা’র সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। উমামা রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে অপহরণ করে।
এ বিষয়ে ইউসুফের পিতা মোহাম্মদ ইসমাইল কালু জানান, “শুনেছি চট্টগ্রামে পড়াশোনার সুবাদে তারা প্রায় ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছে। বর্তমানে তারা পালিয়ে কক্সবাজারে অবস্থান করছে।

মেয়ের মামা মো. তাহের শাহ ও চাচা মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, পিতা-মাতাহীন এতিম তাহেরা জান্নাত উমামাকে বেশ কিছু দিন ধরে বিরক্ত করে আসছিল ইউসুফ। গত কয়েক মাস আগে এ ধরনের উত্যক্ত করবে মর্মে মুচলেকা দেয় ইউসুফ। ঘটনার সময় আরো কয়েকজন মিলে ইউসুফ চট্টগ্রাম থেকে কৌশলে টেকনাফ নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে উমামাকে। তাকে উদ্ধার করারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিএমপি পাঁচলাইশ থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. রেজাউল করিম জানান, “মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক। তাই অপহরণ নাকি স্বেচ্ছায় গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে টেকনাফ এলাকায় রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version