parbattanews

পেকুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে তৃতীয় শ্রেণির এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা

শিশু ধর্ষণ

পেকুয়া প্রতিনিধি:

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পেকুয়ায় প্রতিবেশী নজির আহমদের পুত্র আবু ছৈয়দ(২০) তৃতীয় শ্রেণির এক এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এতে ওই ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জনরোষ থেকে বাঁচতে বর্তমানে ওই যুবক গা ঢাকা দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দরদরি ঘোনা গ্রামে। সঙ্গত কারণে মেয়েটির নাম গোপন রাখা হল।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি ছেলে ও মেয়ের পরিবার পরস্পর আত্মীয় ও প্রতিবেশী হওয়ায় এনিয়ে স্থানীয়ভাবে মিটমাট করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অপরদিকে, তৃতীয় শ্রেণির অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা চরম ক্ষুব্ধ হন। দায়ী লম্পট প্রেমিক আবু ছৈয়দ এর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে বর্তমানে ওই যুবক গা ঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দরদরি ঘোনা এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের এতিম তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে তার প্রতিবেশী নজির আহমদের পুত্র আবু ছৈয়দ(২০)প্রায় এক বছর আগ থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই শিক্ষার্থীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

জানা গেছে, বর্তমানে ওই ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি দরদরি ঘোনা এলাকার একটি আনন্দ স্কুলের নিয়মিত ছাত্রী। সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মাকে জানালে মা ছেলের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেন। অভিযোগ উঠেছে ছেলের পরিবার এর জের ধরে মেয়ের বিধবা মা ও বড় ভাইকে গতকাল ১৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে মারধর করে আহত করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে হত্যাসহ নানাবিধ হুমকি অব্যাহত রাখে।

গতকাল বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি এ বিয়ে তারা মেনে নিতে সম্মত নন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় পুতু মাঝি, মহি উদ্দিন, রবিউল আলম, ছৈয়দুল করিম, লুৎফর ও এনামুল হক জানিয়েছেন, ছেলে মেয়ের সাথে ঠিকই অবৈধ সম্পর্ক করে তাকে অন্তঃসত্ত্বা করেছে। কিন্তু এখন অস্বীকার করছে।

ছেলের চাচা জিল্লুর করিম বলেন, বিষয়টি আগে কখনো আমাদের কানে আসে নি। ছেলে এবং মেয়ে দু’জনেই নিকট আত্নীয়। তাই এ ব্যাপারে আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।

Exit mobile version