parbattanews

বীর বিক্রম ইউ কে চিং কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানো হলো

Bandarban pic-25.7.2014
জমির উদ্দীন বান্দরবান থেকে :

উপজাতিদের মধ্যে একমাত্র বীর বিক্রম মুক্তিযোদ্ধা বান্দরবানের ইউ কে চিং আর নেই। তিন পার্বত্য জেলার একমাত্র পাহাড়ীদের মধ্যে বীর বিক্রম খেতাব পাওয়া ইউ কে চিং মারমাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বীর বিক্রম পাড়ায় বিকাল ৩টায় লাঙ্গীপাড়া রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ পিএসসি, জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য্যসহ মুক্তিযোদ্ধারা ও স্থানীয় গণ্যামান্য ব্যক্তিবর্গরা।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খ্যাতিমান এই মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। পারিবারিব সূত্রে জানা গেছে আগামী রবিবার মহা স্মশানে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার দাহ করার হবে। গত বুধবার ব্রেইন স্ট্রোক করলে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং-এর দুই পুত্র এক কন্য সন্তান রয়েছে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে বান্দরবানের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং পুরো নাম উক্যচিং মার্মা। ১৯৩৩ সালে বান্দরবান শহরের উজানী পাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি ইপিআরে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে এই মহান মুক্তিযোদ্ধা রংপুর জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। রণাঙ্গনে তার সাহসীপূর্ণ ভুমিকায় তাকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার সম্মানে বান্দরবান শহরে ইউ কে চিং সড়ক রয়েছে। এছাড়া শহরের কাছে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে একটি আবক্ষ ভাস্কর্য রয়েছে। ইউ কে চিং এর সম্মানে বান্দরবানে সম্প্রতি মেধা বৃত্তিও চালু করা হয়েছে।

Exit mobile version