parbattanews

বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই বোল্ড ইয়াসির আলি

বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল ৫ মিনিটের মতো। এরপর আবারও খেলা শুরু হলো। কিন্তু দুর্দশা বাংলাদেশের কাটছেই না। বৃষ্টি শেষ হওয়ার ৯ বল পর, ১১তম ওভারের শেষ বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পল ফন মিকেরেনের ইয়র্কার লেন্থের বলটিকে ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না যেন ইয়াসিরের।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১১.৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৮। ১১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং নুরুল হাসান সোহান ব্যাট করছেন ১ রান নিয়ে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার মোটামুটি ভালোই সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ৪৩ রান করেছিলেন তারা ৫ ওভারে। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভার থেকেই বিপর্যয়ের সূচনা। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন শান্তও।

এরপর ভরসা যা ছিল লিটন এবং সাকিবের ওপর। কিন্তু এই জুটিও চরম হতাশ করলো বাংলাদেশের সমর্থকদের। ৯ম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন লিটন দাস। পরের ওভারেরই প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপর অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হন সাকিব আল হাসান।

৬৩ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৪ উইকেট। এরপরই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। উইকেট ঢেকে দেয়া হয় ত্রিপল দিয়ে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

সাকিব যে জায়গা দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন, পরের বলে আফিফ ঠিক একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারেন। তিনি ব্যাট করছেন ৬ রান নিয়ে। তার সঙ্গে ১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি।

বিশ্বকাপের আগে ওপেনিং নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষাই করা হলো। মেকশিফট ওপেনার দিয়ে খেলানো হলো। মেকশিফট ওপেনিংয়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকেই বাদ পড়তে হলো সাব্বির রহমানকে। অন্য যাকে ওপেনিংয়ে নামানো হতো, সেই মেহেদী হাসান মিরাজকে একাদশেই রাখা হয়নি।

শেষ পর্যন্ত অফ ফর্মে থাকা দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারকে দিয়েই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করানো হলো। দু’জনের সূচনাটা হয়েছিল বেশ ভালোই। পাওয়ার প্লেকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টাই করেছেন সৌম্য এবং শান্ত।

প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট তো দিলেনই না, বরং স্কোরবোর্ডে রান তুললেন ৪৩টি। কিন্তু সৌম্যর দুর্ভাগ্য, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের, তথা ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই পুল করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেভাবে বলটি ব্যাটে আসেনি। দ্রুত গতির বলটি হালকা ইনসুইংয়ের কারণে বল মাঝ ব্যাটে না এসে উপরের অংশে লেগে যায়। যার ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য।

৪৩ রানের মাথায় পড়লো প্রথম উইকেট এবং ১৪ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান হলো ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭।

৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলটিতে শট খেলতে গিয়ে শট লেগে বল তুলে দেন শান্ত। ফন বিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ২০ বলে করেন ২৫ রান। এরপর ৯ম ওভারের চতুর্থ বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। বলটি হালকা উঠে গেলে সৌম্যর মতই ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। ১১ বল খেলে ৯ রান করেন তিনি।

সাকিব আল হাসানও আউট হলেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার শারিজ আহমেদের বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাঁকাতে যান সাকিব। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনের ওপর অনেকটা লাফিয়ে উঠে সাকিবের ক্যাচটি ধরে নেন বাস ডি লিডি। ৯ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন সাকিব।

Exit mobile version