নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বড় মেরুং এলাকায় বেইলি ব্রিজ ধসে পড়ায় খাগড়াছড়ির সাথে রাঙ্গামাটির লংগদুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে । টানা ৯ দিন পরিবহন ধর্মঘটের পরের দিন বেইলী ব্রিজটি ধসে পড়ায় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে লাখো মানুষ। ধসে পড়া বেইল ব্রিজটি সচল করতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তারা। তাই জন দূর্ভোগ লাঘবে সেনাবাহিনী অস্থায়ী ভিত্তিতে বিকল্প একটি ব্রিজ নির্মানের চেষ্টা করছে।
গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় ব্রিজটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ব্রিজের দু’পাশে আটকা পড়ে বেশ কিছু যানবাহন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে। বেইলী ব্রিজটি ধসে পড়ার কারণে খাগড়াছড়ির সাথে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা ছাড়াও দীঘিনালা সদর উপজেলার সাথে ঐ উপজেলার একটি বিরাট অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
জীপ চালক সুনিল দেবনাথ জানান, এখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। এছাড়া কোথাও কোন দোকানপাটও নেই। প্রতিদিন বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে যাত্রী পরিবহন করতে হচ্ছে। যাত্রীরা ব্রিজের একপাশের গাড়ি থেকে নেমে অন্যপাশের গাড়িতে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছে।
দীঘিনালা জোনের জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল মোঃ লোকমান আলী বলেন, বর্তমানে বিকল্প পন্থায় একটি অস্থায়ী ব্রিজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের মতো সচল করা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রিজ ভেংগে যাওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। বর্তমানে ব্রিজের একপাশের গাড়ি যাত্রী নামিয়ে অন্যপাশের গাড়িতে বহন করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ্যের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এটা মেরামতের ব্যবস্থা নিব।
