বেতছড়ি গণহত্যার বিচারের দাবি পার্বত্য অধিকার ফোরামের
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতছড়ি, কচুখালীতে জেএসএসের সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী কর্তৃক ১৯৮০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সংঘঠিত গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও এর ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব ও পার্বত্য অধিকার ফোরামের ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাজিম আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ১৯৮০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতছড়ি, কচুখালী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় বেতছড়ি গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙ্গালির হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা।
তারা বলেন, বাঙ্গালীদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগসহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। যে ঘটনার মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ২৫ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত করা হয়েছে আরও ১৪৫ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে। ১৬৫টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় সহস্রাধিক পরিবার।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনী কর্তৃক অসংখ্য গণহত্যা হলেও সরকার এ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের কোন বিচার করেনি অভিযোগ করে তারা বলেন, বিচারহীনতার কারণেই সন্ত্রাসীরা এখনো সশস্ত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় তারা এই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।