parbattanews

কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় বেশি ঝুঁকিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজারকে মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলের জন্য দেওয়া হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

জানা যায়, ১৯৯১ সালের পলংয়নকারী ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যার ফলে মহেশখালী-কুতুবদিয়া মানুষগুলো আতঙ্কে রয়েছে বলে জানা।

জানা গেছে, কক্সবাজারে মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে চরম ঝুঁকিতে আছে মহেশখালী- কুতুবদিয়া। মহেশখালী কুতুবদিয়া বঙ্গোপসাগরে ঘেসা হওয়ায় এই ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়াও মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ এর ফলে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় দ্বীপ অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা।

কুতুবদিয়া বেড়ি বাঁধের জন্য বারবার টেন্ডার হলেও কাজ হচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় কয়েকটি গ্ৰাম। কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং, কৈয়ারবিল, আলি আকবর ডেইল, বড়ঘোপ লেমশীখালী সহ বেশ কয়েকটি জায়গা দিয়ে বেড়ি বাঁধ না থাকার কারণে পানি ঢুকতেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, সোনাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় সে দিকেও পানি ঢুকে যায়। এ বিষয়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, মাতারবাড়ী সাইড পাড়া বেড়ি বাঁধের দিকে পানি ঢুকে পড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে মহেশখালীতে ব্যপকভাবে প্রস্তুতি গ্ৰহণ করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সচেতনতামূলক মাইকিংসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । শুকনা খাবারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউর হক মীর জানান, আমরা ইতোমধ্যে অনেক জনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে এনেছি, বাকি সকলকে ও নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে ‌। উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানা গেছে।

Exit mobile version