parbattanews

বেহাল দশায় পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই অডিটোরিয়াম

কক্সবাজারের পেকুয়ার একমাত্র অডিটোরিয়াম শহীদ জিয়া বিএমআই অডিটোরিয়াম। একসময় সভা-সমাবেশ, বিনোদন-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বেশ আলোচিত ছিল।

নির্মাণের পর আর কোন সংস্কার না হওয়ায় সময়ের ব্যবধানে অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে ভূতুড়ে ঘরে পরিণত হয়েছে এ অডিটোরিয়াম। অতিসত্বর সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কয়েক কোটি টাকার এ অডিটোরিয়াম। পেকুয়াবাসী হারাতে পারে সভা – সমাবেশ ও বিনোদন স্পটের একটি নৈসর্গ।

সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) এর পাশে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) অডিটরিয়াম ভবন। এটি ২০০৩ সালের ২০ মার্চ মাসে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কক্সবাজারের আওতায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। একই বছর ১৮ জুন অত্যাধুনিক মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অডিটোরিয়াম হিসাবে উদ্বোধন করা হয়। ২০০৯ সালের আগে ৬০০ আসনের এই অডিটরিয়ামটি মুখর ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডে । নিয়মিত চলতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও সংস্থার সভা, সেমিনার । বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনেক অনুষ্ঠানও ধারণ করা হয়েছে এ অডিটরিয়াম থেকে। শুরুর কয়েক বছর অডিটরিয়ামটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। চোখের সামনে সাংস্কৃতির এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাওয়াতে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বর্তমানে ৬০০ আসনের এ চেয়ারগুলো ভেঙে যায়। জানালা দরজাসহ অন্যান্য সব সরঞ্জাম গুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

সাংস্কৃতিক কর্মী আব্দুল্লাহ বলেন, এ অডিটোরিয়াম চালু থাকলে সাংস্কৃতিক অঙ্গন অনেক চাঙ্গা থাকতো। জরাজীর্ণ এ অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সংস্কারে প্রাণোচ্ছল হয়ে ফিরে আসবে।

পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. হানিফ চৌধুরী বলেন, আমাদের একটি সভা সেমিনার করতে হলে করার কোন জায়গা পায় না। এ অডিটোরিয়াম পেকুয়াবাসীর সভ-সমাবেশ ও বিনোদন স্পট সেটি নৈসর্গ ছিল।

এ বিষয়ে শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বি এম আই) অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, এটা সংস্কার করা বিশাল অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। বিএমআই এর কাছে এত অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সংস্কার হচ্ছে না বলে এটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়েও আবেদন করে ছিলাম সংস্কারের জন্য, সাথে এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারও দিয়েছিলাম। সংস্কারের জন্য নানা চেষ্টা করতেছি।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ অডিটোরিয়াম যখন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তখন থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। কোন অনুষ্ঠান করার মত পরিবেশ নাই। তাই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রাবণী চক্রবর্ত্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ অডিটোরিয়ামের সংস্কারের জন্য আবেদন করেছিল ওটা আমরা ঢাকা পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে এখনোও বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ আসলে টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করবো।

Exit mobile version