parbattanews

বৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

1
আলমগীর মানিক, রাঙামাটি
পার্বত্যাঞ্চলে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ খুন চাদাঁবাজি গুম এর প্রতিবাদে এবং সেনা ক্যাম্প পূনঃস্থাপনপূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনী অভিযানে দাবিতে শুক্রবার রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি মিলনায়তনে মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত চাদাঁবাজিসহ অপহরণ কর্মকান্ডে জড়িত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও সংবিধান সমুন্নত রাখতে পার্বত্যবাসি কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক চাঁদাবাজির অর্থ যার পরিমাণ শত কোটি টাকা। যা ব্যয় হয় সম্পূর্ণভাবে “কল্পিত জুমল্যান্ড” বানানোর লক্ষ্যে দেশদ্রোহী কর্মকান্ডে। পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে উপজাতীয় ক্ষমতায়নে বলীয়ান হওয়া উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা লাগামহীন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। পার্বত্যাঞ্চলে চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতায় নেমেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের তিনটি গ্র“প। অস্ত্রের ঝনঝনানি, শকুনের তান্ডবে কম্পিত পার্বত্যাঞ্চল। নেই কোন প্রতিকার। বিচারের বাণী নিভৃত্বে কাঁধে। চাঁদা দেয়ার অপারগতায় উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক মৃত্যু অনিবার্য্য। ইতিপূর্বের উপজাতীয় নেতা কর্তৃক পার্বত্য এলাকা থেকে বাঙ্গালী তাড়ানোর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র সফল না হওয়ায় “কল্পিত জুমল্যান্ড” ষড়যন্ত্রের নীলনক্সা অনুযায়ী নিরহ পার্বত্য বাঙ্গালীদের উপর উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নির্লজ্জ মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে। প্রাণের মায়ায় অনেক নিরীহ বাঙ্গালী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। যা স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীরা কখনও আশা করেনি। রাষ্ট্রের অখন্ডতা রক্ষার্থে রাষ্ট্রের স্বপক্ষীয় শক্তি পার্বত্য বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বক্তাগণ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চল থেকে সন্ত্রাস নির্মূল ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার লক্ষ্যে সেনাক্যাম্প পূণঃস্থাপনপূর্বক চিরুনী অভিযান, পার্বত্য জনগনের প্রাণের দাবী বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সভায় বক্তাগণ সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। আলোচনা সভা শেষে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা এগারটায় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য গণপরিষদ এর চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আলমগীর, প্রধান বক্তা পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড.পারভেজ তালুকদার, আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র নেতা মো. আলী হোসাইন মেহেদী, মো. ইউনুচ মিয়া, মো. জহির, মো. সাহাব উদ্দিন, মো. শাকিল, মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

Exit mobile version