parbattanews

বৈরি আবহাওয়া: উপকূলে ফিরছে মাছ ধরার ট্রলার

বৈরি আবহাওয়ার কারণে মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল হয়ে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যেতে পারছে না জেলেরা। তাই হাজার হাজার ট্রলার পেকুয়ার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে রয়েছে। গত ২৩ জুলাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে যায় কয়েক হাজার ট্রলার। প্রথম সপ্তাহে ভালো ইলিশ ধরা পড়লেও গত দু সপ্তাহ ধরে আশানুরূপ ইলিশ জালে ধরা পড়েনি।

মৎস্য বিভাগসূত্রে জানা যায়, কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ইলিশ গভীর সাগরের দিকে ফিরে গেছে। বৃষ্টিপাত শুরু হলেই উপকূলের কাছাকাছি ইলিশ আবার ছুটে আসবে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গভীর সাগরে থাকা শত শত মাছ ধরার ট্রলার চলে এসেছে। পেকুয়ার বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে। বৃহস্পতিবার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নং সর্তকতা সংকেত রয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

সরেজমিনে বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে অন্তত শত শত মাছ ধরার ট্রলার ভেড়ানো রয়েছে। এসব ট্রলারে মাঝি-মাল্লারা আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে সাগরে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে।

ট্রলারের মাঝি কালু মিয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ৭-৮ দিনের রসত নিয়ে ২০ জন জেলে নিয়ে তাদের ট্রলারটি ইলিশ ধরার জন্যে সাগরে যায়। এই যাত্রায় তাদের জ্বালানি খরচও উঠে আসেনি। এখন ১০ দিন ধরে ঘাটে অপেক্ষায় আছেন।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঘাটে মাছ নেই বললেই চলে। সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরাও মাছ ধরতে যেতে পারছে না।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‌সামুদ্রিক মাছের প্রজননের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা প্রথম এক সপ্তায় আশানুরূপ মাছ পেয়েছিল। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম ও বৈরি আবহাওয়ায় জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সব ধরনের নৌযান অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version