বৈশাখেই পানছড়ি বাজারে হাটু জল

11-5-14 PIC

পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা সদরের একমাত্র বাজারটি যেন পাহাড়ি-বাঙ্গালীর মিলনমেলা। বিশেষ করে প্রতি রবিবার দুর-দুরান্ত থেকে এসে সমাবেত হয় হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতা। রাস্তা আর গলির পাশে বসেই কাঁচা সাক-সবজি ও বিভিন্ন ফলফলাদি বিক্রি করে চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা ও সাঁওতাল সম্প্রদায়। কিন্তু বৈশাখের বৃষ্টিতে বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিতে হাটু পানি দেখে হতাশায় ভুগছে দুর-দুরান্ত থেকে আগত এই কৃষককুল।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবজি বাজার, পান বাজার ও মাছ বাজার এলাকায় থৈ-থৈ করছে হাটু জলে। পুরুষ-মহিলা উভয়েই হাঁটুর উপর কাপড় তুলে কোন রকম এপার ওপর হচ্ছে। আর ঘন্টাখানেক বৃষ্টি হলে হয়তো কোমর সমান পানিতেই ভাসতে হবে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। জলবদ্ধতার মূল কারন সম্পর্কে পানছড়ি বাজারের কয়েকজন দোকানীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, প্রভাবশালীদের দোকানের সামনের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। তাইতো জলবদ্ধতা। তাছাড়া রাইস মেইলের ভুষির কারণেও ড্রেনের মুখ বন্ধ বলে অনেকে সরাসরি না বলে ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝাতে চাইছেন।

এ ব্যাপারে বাজার ফান্ডও এ ব্যাপারে কান ভুমিকা নিচ্ছেনা। তাছাড়া পার্বত্যনিউজ এর আগেও পানছড়ি বাজারে বে-দখল ও টয়লেট সমস্য নিয়ে লেখালেখি করায় অনেকেই সস্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু এতো লেখালেখির পরও বাজার ফান্ড তথা বাজার চৌধুরীর ভুমিকা রহস্যজনক বলে ধারনা করছেন অনেকে। কয়েকজন দোকানী ও ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানান, বাজার ফান্ড তথা বাজার চৌধুরী কেজি: মাপা দরে বিক্রি হয়ে যায় প্রভাবশালীদের নিকট।

এই বাজারের বে-দখল, শৃংখলা, জলবদ্ধতা ও পাবলিক টয়লেট দুরীকরণে জেলা প্রশাসক, জোন কমান্ডার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ লাগবে বলে তারা এই প্রতিবেদককে জানান। পানছড়ি বাজার উপজেলার একমাত্র প্রাণকেন্দ্র। প্রভাবশালী, জলবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট ও বাজার চৌধুরীর দুর্বলতার গ্যাঁড়াকল থেকে উদ্ধার হয়ে এই বাজারটি যেন সহসাই প্রাণ ফিরে পায় তাই কামনা করছেন অভিজ্ঞ মহল।

 

আরও খবর

টেকনাফ উপকূল দিয়ে মানব পাচার অব্যাহত

পর্যটন শিল্প ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরী- মেনন

বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুরের মুর্ছনায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ২৫ বছর পূর্তি

সন্ত্রাসীদের শিকড়সহ কীভাবে উপড়ে ফেলতে হয় তা আওয়ামী লীগের জানা আছে- প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন