বৈসাবি বরণে মানিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী মহামুনি মেলায় মানুষের ঢল
মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
বৈসু, সাংগ্রাই ও বিজু (বৈসাবি)”পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পাহাড়ে উপজাতি ও বাঙালী সমাজে চলছে আনন্দের বন্যা। মানিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী মংরাজ বাড়ীর মহামুনি মেলায় ছিল নর-নারীদের উপচে পড়া ভীড়।
বাংলা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষকে বরণে পার্বত্যাঞ্চলে বিরাজ করছে হরেক আয়োজন। বিদায়ী বছরের শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর গেইট থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে বর্ষকে বিদায় ও বরণ করেন নর-নারীরা ।
এ অঞ্চলে বসবাসরত মারমা, ত্রিপুরা ও চাকমারা “বৈসু, সাংগ্রাই ও বিজু (বৈসাবি)” নামে উৎসব পালন করে থাকেন। গত সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। পরে ত্রি-মৈত্রি বটমূলে অনুষ্টিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে স্থানীয় শিল্পিরা গান, নৃত্য পরিবেশন করে পান্তা-ইলিশে অংশ নেন।
অন্যদিকে ১৮৩৮ বঙ্গাব্দ থেকে মংরাজ বাড়ীর ঐতিহ্যবাহী মহামুনি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ও সেখানে সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলার আনাচে-কানাচের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মেলায় সমবেত হয়। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ক্লান্তিহীন উদ্যমে ছেলে বুড়ো সকলে অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি।
সাধারণ মানুষের এ মিলন মেলা উপভোগ করতে সেখানে ছুঁটে আসেন গুইমারা রিজিনয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম পিএসসি , সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো. রাব্বি আহসান পিএসসি স্বস্ত্রীক মেলায় আসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেলা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা ম্রাগ্য মারমা,ইউ.এন.ও সনজীদা শারমিন, উপজাতি নেতা কংজরী মারমাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এতে সংগীত পরিবেশন করেন খাগড়াছড়ির সংগীত শিল্পি ক্রাঞোরী মারমা ও তার দল। মেলা ও বর্ষবরণ উদযাপন প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, বিদায়ী ও নব বর্ষকে ঘিরে মেলার আয়োজনে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। এ জন্য সবাইকে বৈসাবি অভিনন্দন।