পানছড়ির গরু ইজারাদার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
পানছড়ির গরু ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। কোরবানীর দু’মাস আগ থেকেই গরু বাজার হয়ে উঠত জমজমাট। ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড়ে গরু বাজার এলাকা থাকতো সরগরম। কিন্তু এবারের ঈদ ঘনিয়ে এলেও জমে উঠেনি বেচা-কেনা। তাই ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের কপালে হতাশার চিহ্ন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের ইজারাদার জীবন রায় জানান, পানছড়ি গরু বাজার জৌলুস হারাতে বসেছে। বাজারের গরু এলেও বেচা-কেনা নাই বললেই চলে। করোনার মহামারীর কারণে বিগত চারটি মাস কোন হাট বসেনি। তাই তিন লক্ষাধিক টাকা লোকসান গুনলেও বাজার ফান্ড প্রশাসন একটুও সহানুভতি দেখায়নি।
২০২০-২১ অর্থ বছরের ইজারাদার মো. জুলফু মিয়া জানান, কোরবানীর সময় ঘনিয়ে এলেও বেচা-কেনা নাই। আর মাত্র একটি বাজার বাকী আছে। গত দু’বাজার মিলে ২০-২৫টি গরু বেচা-কেনা হয়েছে। যেখানে হওয়ার কথা ছিল পাঁচ শতাধিক। লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গোনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে জানালেন।
গরু ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন, অহিদ মিয়া, ললিত চন্দ্র চাকমা,ইন্দ্র রঞ্জন চাকমা ও বৃষ মোহন চাকমা জানান, ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। প্রতি গরুতে দশ থেকে পনের হাজার টাকা লোকসান দিতে হবে। তাছাড়া ক্রেতাই নেই বিক্রি করবো কার কাছে সেটাই নিয়ে এখন চিন্তা।
মোট কথা স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী ও ইজারাদারের মাথায় হাত বলে তারা জানালেন। ইজারাদারের দাবি করোনার মহামারীর কারণে বাজার জমছেনা। তাই আগামী অর্থবছরে বাজার ফান্ড প্রশাসন নুন্যতম চার মাস যদি সহানুভুতি না দেখায় তাহলে মানবেতর দিন যাপন করা লাগবে।