parbattanews

ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা, চাপাতির কোপে বিচ্ছিন্ন কিশোরের পা

খাগড়াছড়িতে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনার জেরে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে রাকিব হাসান (১৬) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এতে ওই কিশোরের একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন রকমে ঝুলে আছে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা সদরের শালবন এডিসিহিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও আরো তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর পুলিশ জড়িতদের একজনকে গ্রেফতার করেছে। ভুক্তভোগী ও থানা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আসামিরা হলেন, আব্দুর রহিমের ছেলে মো. হোসেন (২২), আবুল কাশেমের ছেলে মো. রায়হান (২৪), শহিদের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও আবজাল হোসেনের মো. অনিক (২৪)। তারা সবাই শালবন এডিসিহিলের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে এডিসিহিল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে আসামিদের সঙ্গে বাকতিণ্ডা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী রাকিব বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় আবু বকরের বাসার সামনে গেলে আসামিরা তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে রাকিব নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কিশোর বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনায় কিশোরের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার পর হানিফ নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, রাকিবের পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। বৃহস্পতিবার তার পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাইমুল হক বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি হানিফকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।’

Exit mobile version