parbattanews

ব্রাউন বেঙ্গল ছাগল গবেষণায় স্বপ্ন জাগাচ্ছে বিএলআরআই

ছাগলের নতুন জাত নিয়ে গবেষণা চলছে বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্রে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিছামারা এলাকায় ২০১২ সাল থেকে এই গবেষণা চালানো হচ্ছে।

পাহাড়ি খামারীদের প্রাণী উৎপাদন ও সমস্যা চিহ্নিত করণসহ সমতল ও পাহাড়ি ভূমির প্রাণীদের উভয় পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বা বিএলআরআই এই আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে দেশীয় নানান ধরনের পশুপাখি লালন পালন ও প্রজনন গবেষণা চালানো হয়। যার মধ্যে ব্রাউন বেঙ্গল ছাগল বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।

সরেজমিনে গবেষণা খামার ঘুরে জানা গেছে, হিলি ছাগলগুলো ব্রাউন বেঙ্গল ছাগল নামে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামেই এসব ছাগল প্রথম দেখা মেলে। দেশের বিখ্যাত ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের সাথে এইসব ব্রাউন বেঙ্গল ছাগলের উৎপাদন ও গুনগত মান প্রায় একই। এই দুটি জাতের ছাগলের মধ্যে পার্থক্য হলো একই পরিমান বা তার চেয়ে কম খাবার খেয়েও ব্রাউন বেঙ্গল ছাগল দৈনিক ২০০-৩০০গ্রাম বেশি দুধ উৎপাদন করে। আরেকটি পার্থক্য হলো এদের গায়ের রং। ব্রাউন বেঙ্গল আকারে ছোট কিন্তু মোটা। একসঙ্গে ২-৪টি বাচ্ছা দেয়। পূর্ণবয়স্ক একটি ছাগল ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে।

বান্দরবান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলামুর রহমান বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেই গয়াল (গাউর) ও হিলি চিকেনের (পাহাড়ি অঞ্চলের মুরগি) পাশাপাশি হিলি ব্রাউন বেঙ্গল গোট নিয়ে গবেষণা চলছে। এর ফলে বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা বাড়ার সুযোগ রয়েছে।

বিএলআরআইয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কেএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, হিলি ব্রাউন বেঙ্গল ছাগল নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। অন্যান্য ছাগলের চেয়ে এই প্রজাতির ছাগলের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। উম্মুুক্ত পরিবেশে এই প্রজাতির ছাগল বাণিজ্যিকভাবে পালন করা সম্ভব।

Exit mobile version