parbattanews

ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিল্লাল ভারত ঘুরে পানছড়িতে: বাবা-মা’র কাছে যেতে চায় সে

BILLAL

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি।
বিল্লাল হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করা অবস্থায় পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে। এরপর সে আর কিছু বলতে পারে না। পরে সে বুঝতে পারে অজানা -অচেনা কোন এক জায়গায় তার অবস্থান। যে শিশু সারাক্ষণ মা-বাবার পাশে ঘুর ঘুর করার কথা সে শিশুই আস্তে আস্তে ভুলে গেল মা-বাবা ডাকটি। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি পোড়াবাড়ি বাস টার্মিনাল এলাকায় ফর্সা লিকলিকে পনর-ষোল বছর বয়সী এক শিশুর কান্না দেখে কয়েকজন পথচারী এগিয়ে এলে ছেলেটি জানায় তার নাম বিল্লাল হোসেন, বাবার নাম জসিম উদ্দিন, মায়ের নাম সেলিনা আক্তার, বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া বিশ্বরোড। এর বেশী সে আর কিছুই জানেনা। পাচারকারীরা তাকে ভারতের আসামের গোলাপাড়া গ্রাম এলাকার জেলখানার মত এক মদ, গাজা কারখানায় পেকিটিং এর কাজ করাতো বলে জানায়। নির্দিষ্ট গন্ডি থেকে কখনো বের হতে পারেনি বলে বিল্লাল এ প্রতিবেদককে জানায়।

তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, পানি আনার জন্য নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে এসে পালানোর সুযোগটা পুরোপুরি সে কাজে লাগায়। কিছুপথ ট্রেনে চড়ে কিছুপথ পায়ে হেটে সর্বশেষ দুদুকছড়া সীমান্ত এসে এক চাকমা ছেলের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে পানছড়িতে আসে। সে এ প্রতিবেদককে আরো বিভিন্ন লোমহর্ষক কাহিনী তুলে ধরেন।  বর্তমানে ঐ মদ, গাজা কারখানায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের বহু শিশু না খেয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে বলেও জানায়। 

বিল্লাল তার মা-বাবার কাছে ফিরতে চায় কিন্তু বাধা সে পুরো ঠিকানা বলতে পারছেনা। বর্তমানে সে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়ার হেফাজতে রয়েছে। তার সঠিক অভিভাবকদের সু-নির্দিষ্ট প্রমান সহ ০১৮২৫৭৮৫৫১২/০১৭৮৩৯৬৮১৮৫/ ০১৫৫৬৭৭১১৫৩ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ মোড়ল এ প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানায় একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত অভিভাবকও খুজে বের করার চেষ্টা চলছে। কোন অভিভাবক খুজে না পেলে তাকে সেইফ কাষ্টরীতে পাঠানো হবে বলে জানান।

Exit mobile version