parbattanews

বড় আঘাতের সম্মুখীন মিয়ানমার, ঘরবাড়ি ছেড়েছে রাখাইনের লক্ষাধিক মানুষ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের দিকেও।

রোববার (১৪ মে) বিকালে রাখাইন রাজ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার আগেই লক্ষাধিক রাখাইন নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে।

মিয়ানমারের দৈনিক ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, রাখাইনে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিবেগের পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। রাখাইনের সিত্তে, কিয়াকপিউ, মংডু, রাথেডং, মাইবন, পাউকতাও এবং মুনাউং শহরে রেড এলার্ট জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা।

আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, তারা বুধবার থেকে প্রায় এক লাখ দুই হাজার রাখাইন বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঝড়ের পরে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ আরাকান আর্মির সক্ষমতা সীমাবদ্ধ।

রাখাইন স্টেটের এক লাখেরও বেশি জনসংখ্যার সিটওয়ে টাউনশিপের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির লেখক ওয়াই হিন অং। সিটওয়ে এবং আশেপাশের গ্রামগুলোর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ শহরের এবং পাহাড়ের মঠগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

ওয়াই হিন অং বলেন, খাদ্য, ওষুধ ও টয়লেটব্যবস্থার জরুরি প্রয়োজন। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

উপকূলীয় রাথেডং টাউনশিপের প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী সাইতি পাইন গ্রামের মঠ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ইউ আই অং জানিয়েছেন। আরাকান আর্মি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।

পাউকতাও টাউনশিপের এক বাসিন্দা বলেন, বয়স্ক ও শিশুদের সরিয়ে নিতে এবং খাবার বিতরণের জন্য নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

Exit mobile version