নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে মানবেনন্দ্র নারায়ন লারমার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় মহাজন পাড়াস্থ শহীদ লারমার ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান জেএসএস এমএন লারমা দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর লারমার ভাস্কর্যের সামনে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে শোক সভার আয়োজন করা হয়। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমর সিং চাকমার সঞ্চালনায় জেএসএস এমএন লারমা দলের জেলা শাখার সভাপতি প্রীতিময় চাকমা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমএন লারমা দলের সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক দীপু রজ্ঞন চাকমাসহ এমএন লারমা গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এর আগে আয়োজিত শোকসভায় শোক প্রস্তাব করেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুন্য কিশোর চাকমা।
এছাড়া জেলার দীঘিনালা উপজেলাতেও বৃহস্পতিবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দীঘিনালা উপজেলা কমিটির উদ্যোগে এক শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার লারমা স্কোয়ারে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার প্রতিকৃতীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
পরে উপজেলা জনসংহতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় স্বরণ সভা। স্বরণ সভায় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী নরেশ চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় জনসংহতি সমিতির সাধারন সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা প্রমূখ।
অপরদিকে জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েচে। এ উপলক্ষে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) লক্ষ্মীছড়ি শাখা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় জেএসএস জুর্গাছড়ি এলাকায় এমএন লারমা’র প্রতিকৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও প্রভাতফেরি, স্মরণ সভা, শোক প্রস্তাব পাঠ, কালো ব্যাজ ধারণ এবং সব শেষ সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে এমএন লারামার মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজন সমাপ্ত হয়।
ইউপি সদস্য অমর জ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বর্মাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিলবর্ণ চাকমা। স্মরন সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেএসএস’র লক্ষ্মীছড়ি শাখার আহবায়ক জ্যোতিষ দেওয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য নিছাই প্রু চৌধুরী। বক্তারা ভূমি কমিশনের কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে পরিচালনাসহ অবিলম্বে পাবর্ত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজ কর্মীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র আন্দোলনরত জন সংহতি সমিতির সভাপতি মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা।