Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী আবার রোহিঙ্গাদের ‘পুশ-ব্যাক’ করেছে


ডেস্ক প্রতিবেদন: বাংলাদেশের পুলিশ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মেহেরপুর থেকে ভারত থেকে ‘পুশ-ব্যাক’ হয়ে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ছয় জনের ঐ পরিবারের ভাষ্যমতে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী গভীর রাতে তাদের বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঠেলে দিয়েছে। মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, বুধবার সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার কেদারগঞ্জ বাজারে স্থানীয় লোকেরা ঐ রোহিঙ্গা পরিবারটিকে অপেক্ষা করতে দেখেন। তারা বাংলায় কথা বলতে পারেন না বুঝতে পেরে এবং রোহিঙ্গা সন্দেহে স্থানীয় বাসিন্দারা মুজিবনগর থানায় খবর দেন।

মি. রহমান বলেন, ঐ পরিবারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন যে তারা রোহিঙ্গা এবং তাদেরকে ভারত থেকে গভীর রাতে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবারটিতে বাবা-মা এবং তাদের দুটি শিশুপুত্র এবং দুটি শিশুকন্যা রয়েছে।

রোহিঙ্গা পরিবারটির ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার আনুমানিক রাত দুটা থেকে তিনটার মধ্যে তাদেরকে ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দিকে ঠেলে দেয় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ বলছে, ঐ পরিবারটি মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার প্রায় সাত মাস আগে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে তারা ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থান করেছিল বলে তারা জানায়।

তবে সেখান থেকে কীভাবে তারা মেহেরপুরের পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় এসেছে এবিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি। বাংলাদেশে এর আগে এ মাসেই সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের খবর ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে এসেছিল। সে সময় স্থানীয় বিজিবির সূত্র উল্লেখ করে খবরে বলা হয়েছিল, সাতক্ষীরার পদ্মশাখরা সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১৮ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হলে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে তাদের ছবিও প্রকাশিত হয়।

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে আটক বা পরে তাদেরকে কী করা হয়েছে সেবিষয়ে বিজিবি থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি। যে এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল সেই সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসরায়েল গাজী বলেন, আটককৃতদের কক্সবাজারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তারা শুনেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আসতে পারে’ এই সন্দেহে বিজিবির স্থানীয় ক্যাম্প থেকে তাদেরকে এলাকায় পাহারা জোরদার করতে বলা হয়েছিল। সে জন্য তিনি এলাকায় চৌকিদারদের সতর্ক করে দিয়েছেন এবং পাহারা দেয়ার জন্য এলাকার কিছু যুবককেও নিয়োগ করেন। তবে তারা কোন রোহিঙ্গা খুঁজে পাননি। এর আগে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩৯ জন রোহিঙ্গাদের আটকের খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

তবে পুলিশ বলছে, তাদের কয়েকজন মিয়ানমার থেকে সরাসরি বাংলাদেশে এসেছিল এবং তাদেরকে সাতক্ষীরায় আটকের পর কক্সবাজারের উখিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন মেহেরপুরে আটক পরিবারটির বিষয়ে কী করা হবে এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওদিকে কলকাতা থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, বিএসএফ-এর দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি এস. আর. আঞ্জানিয়েলু জানিয়েছেন, “বিএসএফ কোনও ধরনের পুশ ব্যাক করে না। যে সাম্প্রতিক দুটি ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেরকম কোনও ঘটনার কথা বিএসএফের জানা নেই।” যে দুটি এলাকায় রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করে দেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেই দুটি এলাকাই বিএসএফ-এর দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক্তিয়ারে পড়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন