ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের জয়
দলে নেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এরপরও দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যানের অনুপস্থিতিতেও ভারত সফরে গিয়ে চমক দেখালো বাংলাদেশ। দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারালো টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ফিফটিতে এই প্রথমবার ২০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে জিতলো বাংলাদেশ।
৩৯ রানে ডিপ মিড উইকেটে ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে জীবন পান মুশফিকুর রহিম। যুজবেন্দ্র চাহালের ওই ওভারে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের বল হাতে রাখতে পারেননি, হয় বাউন্ডারি। শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ চার মেরে ব্যবধান কমান।
মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৪৬ ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিলেন সৌম্য সরকার। ৩৫ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করে খলিল আহমেদের কাছে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।
সৌম্য সরকারের সঙ্গে মোহাম্মদ নাঈমের জুটি পঞ্চাশ ছুঁতে পারেনি। নাঈমের বিদায়ে পর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সৌম্যর পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে লড়াই করে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারে লিটন দাস ফিরলেও অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ নাঈম আশা জাগানিয়া ব্যাট করছিলেন। কিন্তু যুজবেন্দ্র চাহালের প্রথম ওভারে শিখর ধাওয়ানের ক্যাচ হলেন এই ওপেনার। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি ভেঙে যায়। ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করেন নাঈম।
প্রথম ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ইনিংসের পঞ্চম বলে দীপক চাহারের শিকার হন। ৪ বলে ৭ রান করে কভার পয়েন্টে লোকেশ রাহুলের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার।
৬ উইকেটে ১৪৮ রানে ভারতকে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম ও শফিউল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়ে ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরেন। শফিউল ও আমিনুল সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। আর এই ম্যাচটি বিশেষভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার কারণে। ২০০৫ সালে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণ চালুর পর বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচটি স্থান করে নিয়েছে টি-টোয়েন্টির ১০০০তম ম্যাচ হিসেবে