parbattanews

ভারতের সহায়তায় পলাতক চাকমা সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার

গ্রেফতার

গ্রেফতার

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে পলাতক ক্যাপ্টেন উদ্ভাস চাকমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শনিবার (৯ জুলাই) আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন সিলেট সেনানিবাস থেকে পলায়নকারী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন উদ্ভাস চাকমাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাপ্টেন উদ্ভাস চাকমা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখ থেকে সেনাবাহিনীর একটি কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য সিলেটে অবস্থান করছিলেন। কোর্সে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গত ১২ মে ২০১৫ তারিখে তিনি সিলেট সেনানিবাস থেকে পলায়ন করেন। পলায়ন পরবর্তী সময়ে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

গ্রেফতার এড়াতে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পলায়ন করে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা দিয়ে সস্ত্রীক ভারতের মিজোরামে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। খাগড়াছড়ির বাসিন্দা উদ্ভাস সেনাবাহিনীর একটি কোর্সে অংশ নিতে ২০১৫ সালের ১৫ ফেরুয়ারি থেকে সিলেট ছিলেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোর্সে অংশগ্রহণরত অবস্থায় ২০১৫ সালের ১২ মে তিনি সিলেট সেনানিবাস থেকে পালিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উদ্ভাস চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়। তিনি এরশাদ সরকারের সময় ক্যাবিনেট মন্ত্রী মর্যাদায় থাকা উপদেষ্টা উপেন্দ্র লাল চাকমার নাতি। উদ্ভাস সেনাবাহিনীতে আর্টিলারি কোর্সে যোগদান করলেও পরে তিনি ইনফ্রেন্ট্রি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ইনফেন্ট্রি প্রশিক্ষণ শেষে কমান্ডো ট্রেনিং গ্রহণ করেন। এই ট্রেনিং গ্রহণকালে তিনি খাগড়াছড়িতেই বিয়ে করেন। বিয়ের ২ মাস পর তিনি সিলেট থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ আসেন। যাতে কেউ বুঝতে না পারেন সেজন্য সিলেটেই নিজের মোবাইল ফোন রেখে আসেন। সেখান থেকে স্ত্রীকে নিয়ে রাঙামাটির জুড়াছড়ি হয়ে ভারত পালিয়ে যান।

ভারত যাওয়ার পর উদ্ভাস পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে মিশে বাঘাইছড়ির বিভিন্ন স্থানে অপারেশন পরিচালনা করে পালিয়ে যান। এক পর্যায়ে সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উদ্ভাসকে গ্রেফতার বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

অফিসারের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Exit mobile version