parbattanews

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণ কাজ পরিদর্শন

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার এইচ এম মুহাম্মদ ইমরান খাগড়াছড়ির রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার(১৪ অক্টোবর) বিকালে তিনি ভারতের ত্রিপুরার কর্মকর্তাদের নিয়ে সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন। রামগড়- সাব্রুম স্থল বন্দর চালুর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারত সরকারের অর্থায়নে দীনেশ চন্দ্র আগরওয়াল কনস্ট্রাকশন নামে গুজরাটের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটির কাজ করছে। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) নামে সংস্থাটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের তদারকি করছে। সেতুর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়ার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টাায় হাই কমিশনার এইচ এম মুহাম্মদ ইমরান মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ দেখতে পরিদর্শনে আসেন। তিনি প্রথমে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম সীমান্তের বেইচ ক্যাম্পে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতিসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবহিত হন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সহকারি হাই কমিশনার কৃতি চাকমা, আগরতলার বাংলাদেশ হাই কমিশন অফিসের এডমিন অফিসার আশিকুর রহমান, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা শাসক(ডিএম) দেবপ্রিয় বর্মণ, সাব্রুম মহকুমা শাসক(এসডিও) তড়িৎ কান্তি চাকমাসহ এনএইচআইডিসিএল এবং দীনেশ চন্দ্র আগরওয়াল কনস্ট্রাকশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে হাই কমিশনার ভারতের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সীমান্তের ওপার এবং এপারে সেতুর পুরো অংশ ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশে হাই কমিশনারকে স্বাহত জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির দুই কর্মকর্তা লে.কর্ণেল মো: তারিকুল হকিম ও লে.কর্ণেল মো: আনোয়ারুল মাযহার।

সেতু পরিদর্শন শেষে ভারতে ফেরার পথে হাই কমিশনার এইচ এম মুহাম্মদ ইমরান এ প্রতিনিধিকে বলেন, মূলত: সেতুটি নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে এবং কয়েকটি ইস্যূ সম্পর্কে সরজমিনে অবগত হতে তিনি নয়াদিল্লি থেকে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, আগামীদিনে মৈত্রী সেতুকে কেন্দ্র করে দুদেশের মানুষের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন হবে। পাশাপশি
দুদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মানোন্নয়নের মাইল ফলক হয়ে থাকবে সেতুটি।

Exit mobile version