ভারতে সেনাকর্মকর্তা-জওয়ান সংঘর্ষ: সরকারের উদ্বেগ
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
ভারতে সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের কয়েকটি ঘটনায় সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে দেশটির সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এখন যারা জওয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যথাযথ ভাবে আচরণ করা সেনা কর্মকর্তাদের কর্তব্য।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্সে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টোনি বক্তৃতা করেছেন।
এ ছাড়া, ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো এ জাতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নীতি হবে ‘জিরো টলারেন্স।’
ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাকর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হাতাহাতির ঘটনা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে মিরাটে মোতায়েন শিখ লাইন ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষে সেকেন্ড-ইন-কমান্ডসহ দুই সেনা কর্মকর্তা আহত হয়েছে। ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং শিখ লাইট ইনফ্যানট্রির সঙ্গে যুক্ত।
গত বছরের ৮ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের সাম্বা জেলায় মোতায়েন সাঁজোয়া ইউনিট সিক্সটিনথ লাইট ক্যাভালরি’র এক সেনার আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় বিদ্রোহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ ঘটনার পর ওই ইউনিটের সব সেনা কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেয়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তড়িঘড়ি দুই সেনা ইউনিটকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়।
এ ছাড়া, গত বছরের ১০ ও ১১ মে চীন সীমান্তবর্তী লাদাখে মোতায়েন ২২৬ রেজিমেন্টের জওয়ানরা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময়ের ৪৮ ঘণ্টা পর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনায় ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার, দুই মেজর এবং দুই জওয়ান মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল।
২০১০ সালের ২৯ এপ্রিলে গুরুদাসপুরে মোতায়েন ৪৫ ক্যাভালরি ইউনিটের সেনাকর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যেও হাতাহাতি হয়েছিল।
এ সব ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী এরইমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছর দু’শ’র বেশি সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সূত্র: রেডিও তেহরান