parbattanews

ভারত বন্ধুত্বের চেতনায় বাংলাদেশের পাশে এসেছে, আগামীতেও আসবে : হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা


কক্সবাজার প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেছেন, প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত। আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব, শহীদের আত্মত্যাগ কিংবা যে কোন কৌশলগত সম্পর্কের উর্ধ্বে। বন্ধুত্বের চেতনায় বাংলাদেশের পাশে এসেছে, আগামীতেও আসবে।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উখিয়ার বালুখালি-১২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেন, দমণ নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ভারত কাজ করছে। নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের দু:খ দূর্দশা বুঝতে পারে ভারত। এসব বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় বাংলাদেশের ভুমিকাও প্রশংসনীয়। নির্যাতিত মানুষের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে ভারত মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

শ্রিংলা আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে আড়াই শতাধিক বসতবাড়ি নির্মাণ করছে ভারত। এর কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া মুংড়ুর কিং সাং নামক গ্রামে ৫০ টি বাড়ি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে উৎখাত হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা করা। গত এক বছরে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই মানবিক আচরণ ভারত ও সংশিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল শুরু হওয়ার মুহুর্ত থেকেই বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

ত্রান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার , বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন এবং ভারতের যুগ্ম সচিব বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ২৫০ রোহিঙ্গাকে কেরোসিন তেল ও স্টোভ বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় শ্রিংলার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে গাড়ি যোগে যাত্রা করেন শ্রিংলা।

Exit mobile version