parbattanews

 ভারি বর্ষণে রাঙামাটিতে সতর্কাবস্থা, সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

দু’দিনের টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ আবারও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সীমিত আকারে বেবিটেক্সি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও গতকাল দুপুর থেকে সকল ধরণের হালকা ও ভারি যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে রাঙামাটির সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও সীমিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে রোববার বিকেল থেকেই খাগড়াছড়ি রাঙামাটি সড়ক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ১৩ জুনের পাহাড় ধ্বসের পর প্রায় দেড়মাস বন্ধ রেখে মাত্র গত সপ্তাহে এ সড়কটি হালকা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। সড়ক চালু করার পাঁচ দিনের মাথায় আবারও এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। সতর্কাবস্থা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে কিছু কিছু জায়গায় সামান্য মাটি ধ্বসে পড়লেও সড়ক বন্ধ হয়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া শালবাগান এলাকায় সাময়িকভাবে নির্মাণ করা সড়কটি বর্ষণের সময় চালু রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় দুর্ঘটনা এড়াতে এ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সড়ক বিভাগ সূত্র আরও জানায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ির খামার পাড়া ও কুতুকছড়ির কেসিং এলাকায় সম্প্রতি সংস্কার করা সড়কটি প্রবল বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় রোববার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সোমবার (২৪ জুলাই) রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের যে কয়েকটি স্থানে পাহাড়  ধ্বসে সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত অপসারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে।

এ দিকে ভারি বর্ষণের কারণে রাঙামাটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণের সময় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সেখানে থাকা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। এ কারণে সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে জেলা শহরে সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্র চলে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে বারবার বলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩জুন ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে রাঙামাটিতে ১২০জন মানুষ নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত এবং সহ্রাধিক বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

Exit mobile version