parbattanews

ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলায় রীতিমত বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শহরের ব্যবসায়ীদের উপর। এ কদিনের বৃষ্টিতে দোকানে পানি না ঢুকলেও বুধবারে প্রায় দের শতাধিক দোকানে পানি ঢুকেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড় বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। এমনই তথ্য জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

আবহাওয়া অফিস বলছেন, আরো এক-দুইদিন এ বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। পৌরসভার মেয়র বলছেন, পানি অপসারনের চেষ্টায় পৌরসভা মাঠে রয়েছে। তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কাল-পরশুর মধ্যে এ পানি অপসারন করা সম্ভব হবে।

শহরের বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বড় বাজারের কোথাও হাটু পর্যন্ত আবার কাঁচাবাজারের দিকে কোমর পর্যন্ত পানি হয়েছে। নালার চিহ্ন দেখা যাচ্ছিলনা কোথাও।

আর দোকানদারদের দেখা যায়, দোকানে ঢুকে যাওয়া পানি সরানোর চেষ্টা করছে নানাভাবে। অনেকে কোনভাবে টিন অথবা পার্টিশন দিয়ে দোকানে ঢুকা পানি বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

দোকানদারদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত কয়েক দিন বৃষ্টির পানি না ঢুকলেও বড়বাজারে আজকে প্রায় দের শতাধিক দোকানে পানি ঢুকেছে। এতে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বেঁচা-বিক্রিত হয়নি। তার মধ্যে নষ্ট হয়েছে কাঁচামাল। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি, মাছ, মাংস আর মুরগি বিক্রেতা। পানিতে তলিয়ে গেছে তাদের ব্যবসা কেন্দ্র।

বড় বাজারের মোদির দোকানী লিয়াকত মিয়া জানান, এ ধরনের পানি আগে দেখা যায়নি। হঠাৎ অতিরিক্ত পানি হওয়ায় দোকানে বেশকিছু মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

পাইকারী সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, ক’দিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে কাঁচামাল আনা হয়েছে। কিন্তু গোদামে পানি উঠে অর্ধলক্ষ টাকার কাঁচামাল নষ্ট হয়েছে।

তরকারী বিক্রেতা মো. সুমন জানান, পানিতে আমার দোকান নিচিহ্ন হয়ে গেছে। একইভাবে গরুর মাংস বিক্রেতা শামশুল আলম জানান, এত বেশি পানি তিনি আগে দেখেননি। তারও ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহম্মদ জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আনমানিক দেরশতাধিক দোকানে পানি ঢুকেছে। তবে দিনের বেলা হওয়ায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ অবস্থায় ব্যবসা বানিজ্য হয়নি বললেই চলে। এছাড়া যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ হয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান জানান, পানি অপসারনে পৌরসভার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে এবং এখনও কাজ করছে। এছাড়া স্বাভাবিকভাবে পানি অপসারনের জন্য শুরু থেকে নালা-নর্দমা দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ অবস্থা। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী এক-দুই’দিনের মধ্যে পানি অপসারন হবে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অফিস জানান, আগামী এক-দুই দিন এ বৃষ্টিপাত হবে। এর পরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Exit mobile version