parbattanews

ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছেড়েছে ২৯৮২ জন রোহিঙ্গা

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়ার ১২তম দফায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে উখিয়া অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করেছে ২ হাজার ৯শ ৮২ জন রোহিঙ্গা।

বুধবার(৯ মার্চ) দুপুরে উখিয়া অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ২৭টি বাস যোগে ১ম ধাপে ১৪শ ৬৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাদের বহরের সামনে ও পেছনে রয়েছে কঠোর পুলিশী নিরাপত্তা। দ্বিতীয় পর্যায়ে সন্ধ্যায় ৩৫টি বাস যোগে আরো ১ হাজার ৫শ ১৯ জন রোহিঙ্গা রওনা হয় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে।

এর আগে বুধবার সকালে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে উখিয়া কলেজ মাঠে আসেন রোহিঙ্গারা। অনেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও ট্রানজিট পয়েন্টে আসেন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, ১২তম দফায় ২৯৮২ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছেন। আগের নিয়মে তারা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১১তম দফায় ১ হাজার ৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১ হাজার ২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

Exit mobile version