ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ উঁচু সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার:
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত থানছি-আলীকদম সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের পরই খুলে দেয়া হলো দেশের সবচেয়ে উঁচু এ সড়কপথ।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সড়ক ব্যবস্থার ফলে পর্যটন বিকাশে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বান্দরবান। সাথে সাথে ঐ এলাকার বসবাসকারী লোকজনের যোগাযোগ-আত্মসামাজিক ও শিক্ষা উন্নয়নে বড় ভূমিক রাখবে এ সড়কটি। পার্বত্যবাসীর শান্তির জন্য ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট শান্তি চাইনা বলে তারা বারবার চুক্তি স্বাক্ষরে বাঁধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মাটিতে পাহাড়ের চূড়ায় সর্বোচ্চ উঁচু সড়ক নির্মাণ করেছে। এ সড়কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখার সুযোগ মিস করা যাবেনা। একদিন সড়কটির ভ্রমণে যাবো। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থর উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে আবাসিক সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুল নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের এড়িয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল ওহাব, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, শান্তি চুক্তির আগে পার্বত্যবাসী জোৎস্নার আলো দেখার সুযোগ পেতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শান্তি, উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ব্যাবপক আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে।
সেনাবাহিনীর কৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সড়ক জনপথ বিভাগ প্রথমে থানছি-আলীকদম অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণ কাজ আরম্ভ করে। চার বছরপর সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা ১৬ ও ১৭ ইসিবি এক যুগে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি বেইলি ব্রীজ ও ৭টি কালভার্টসহ মোট ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে।