parbattanews

ভিনদেশ থেকে যেভাবে বাংলাদেশে আনা হয় বহু জাতিগোষ্ঠীর চা শ্রমিকদের

টানা আটদিন ধরে ধর্মঘট করে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। আর এরপরই শনিবার (২০ আগস্ট) তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

বাংলাদেশের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার বা চট্টগ্রাম জেলার ১৬৭টি নিবন্ধিত চা বাগানে সোয়া লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। তাদের অনেকেই বংশ পরম্পরায় এসব বাগানে নিয়োজিত রয়েছেন।

কিন্তু এই শ্রমিকরা সবসময়ে এই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন না। এখনো স্থানীয় বাঙালি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের ভাষা বা সংস্কৃতির দিক থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই মানুষরা উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোয় বসতি করেছেন?

যেভাবে এই অঞ্চলে চায়ের চাষাবাদ শুরু হয়

বাংলাদেশ ও আসাম অঞ্চলে চা বাগানগুলোর প্রতিষ্ঠা হয় অষ্টাদশ শতকে। চীন থেকে ব্রিটিশরা প্রথম চায়ের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠে।

খাদ্য বিষয়ক ইতিহাসবিদ এরিকা র‍্যাপোর্ট তার ‘এ থার্স্ট ফর এমপায়ার: হাউ টি শেপড মডার্ন ওয়ার্ল্ড’ বইতে লিখেছেন, ১৮৩০ সালের দিকে ব্রিটিশরা প্রতি বছর প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড চা পান করতো। এটা আসতো মূলত চীন থেকে।

কিন্তু ব্রিটিশদের চায়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল আরও আগে থেকে। তখন মূলত চীন থেকে ব্রিটেনে চা আমদানি করা হতো।

অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধের কারণে চীন চায়ের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর ব্রিটিশরা বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করে।

চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কাটাতে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চা চাষের পরিকল্পনা শুরু করে। আসামে চায়ের একটি জাত আবিষ্কার করার পর ওই এলাকায় চা চাষে তারা বিশেষভাবে মনোযোগী হয়ে ওঠে। এভাবে দার্জিলিং, আসাম, সিলেটে তারা কয়েকটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করে।

বাংলাদেশে চায়ের চাষাবাদ প্রথম শুরু হয় ১৮৪০ সালে। চট্টগ্রামে কুণ্ডুদের বাগান নামে সেই চা বাগান অবশ্য সাফল্যের মুখ দেখেনি।

এরপর ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিন বছর পর সেই বাগান থেকে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়।

ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ

চীনের অনুকরণে আসাম ও উত্তর-পূর্ববঙ্গে যখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথম চা বাগানগুলো তৈরি করে, সেখানে কাজ করার জন্য তারা প্রথমে চীন থেকে চা বীজ, যন্ত্রপাতির পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিকও নিয়ে আসে।

তখন চা বাগানগুলো তৈরি করা হয়েছিল মূলত আসাম ও সিলেট এলাকা জুড়ে।

সেখানে ম্যালেরিয়া ও কালাজ্বরে শ্রমিকদের মৃত্যু হতে শুরু করলে এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চীনা শ্রমিক-কর্মকর্তারা চলে যায়। একই সঙ্গে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে আরও নতুন কর্মীর প্রয়োজন হয়। তখন শ্রমিকের জন্য ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকার দিকে নজর দিতে শুরু করে।

‘আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাঙ্গালি প্রসঙ্গ ১৯৪৭-১৯৬১’ বইয়ে ইতিহাসবিদ সুকুমার বিশ্বাস লিখেছেন, ”উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আসামে শ্বেতাঙ্গ চা-করেরা যখন চা-বাগান প্রতিষ্ঠা আরম্ভ করেন, তখন স্থানীয়ভাবে শ্রমিক না পাওয়ায় তাঁরা আসাম সরকারের মাধ্যমে চা-শিল্পে কাজ করার জন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করেন।”

”বিহার, উড়িষ্যা (ওড়িশা), মাদ্রাজ (চেন্নাই), নাগপুর, সাঁওতাল পরগনা, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসা এ সব হিন্দুস্থানি চা-শ্রমিকদের বাসস্থান ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা প্রদান করা হয়। এ জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগও চালু করা হয়। এ সময় আসাম সরকার ইমিগ্রেশন অব লেবার অ্যাক্ট চালু কার্যকর করেন। এ ভাবে কয়েক লক্ষ হিন্দুস্থানি আসামে বসবাস শুরু করেন,” তিনি লিখেছেন।

শ্রমিকদের পাশাপাশি চা বাগান পরিচালনায় দক্ষ জনশক্তি সংগ্রহ করা হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে। রেললাইন স্থাপন হওয়ায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, ত্রিপুরা- বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঙালিরা এসে এসব চা বাগানের বিভিন্ন পদে কাজ করতে শুরু করেন।

‘হিস্টরি অব টি গার্ডেনস অ্যান্ড টি ওয়ার্কার্স অফ বাংলাদেশ’ বইয়ে রিয়াদ মাহমুদ ও আলিদা বিনতে সাকি উল্লেখ করেছেন, ১৮৬০-৭০ সালের দিকে আসাম ও সিলেট অঞ্চলে চা বাগানে বাণিজ্যিক সাফল্য দেখা দেয়ায় অনেক বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ফলে চা বাগান বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও বেশি শ্রমিকদের চাহিদা দেখা দেয়। ১৯১০ সালের মধ্যেই সিলেট এলাকায় ১৫৪টি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মালিক ছিল ইউরোপীয়রা।

”চা বাগানে প্রথম যে শ্রমিকরা কাজ করতেন, তারা সিলেটের স্থানীয় ছিলেন না। ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সেখানে এসেছেন। বেশিরভাগ এসেছিলেন দুর্ভিক্ষ পীড়িত এলাকাগুলো থেকে। স্থানীয়রা তাদের ‘কুলি’ বলে ডাকতেন। এখনো তাদের সেই নামে ডাকা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, চা বাগান মালিক এবং কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করতেন।”

”এই ‘কুলিরা’ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিলেন। বেশিরভাগ এসেছিলেন বেঙ্গল, ছোট নাগপুর, মধ্যপ্রদেশ, যুক্তপ্রদেশ, মাদ্রাজ থেকে। … ১৮৯১ সাল নাগাদ সিলেট ও আসামে আসা মোট কুলির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭১৯৫০ জনে।”

ব্রিটিশ ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ‘নলেজ, এভিডেন্স অ্যান্ড লার্নিং ফর ডেভেলপমেন্টের’ একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ”ভারতের বিহার, ওড়িশা, মাদ্রাজ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে চা বাগানের কর্মীদের নিয়ে আসা হতো। তাদের বেশিরভাগ ছিল গরিব এবং দুর্বল, সাধারণত নিম্নবর্ণের হিন্দু বা সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। দালালরা তাদের ভালো চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসতো, যা পরবর্তীতে পূরণ করা হতো না।”

সেই সময় কলকাতায় শ্রমিক সংগ্রহের কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এই শ্রমিকদের বলা হতো ‘কুলি’।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রলোভন, ভয় দেখিয়ে, অপহরণ করে, ভুল বুঝিয়ে, অনেক সময় সহিংসতার মাধ্যমে বাসিন্দাদের ধরে আনা হতো। তাদের মধ্যে বিবাহিত নারী ও তরুণরা থাকতো।

তাদের এনে প্রথমে এসব কেন্দ্রে জড়ো করা হতো। এরপর সেখান থেকে শ্রমিকদের চা বাগানগুলোয় পাঠিয়ে দেয়া হতো। যারা এগুলো করতো, তাদের বলা হতো আরকাত্তি।

উনিশ শতকের শুরুর দিকে স্থানীয় ও ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে এসব অপরাধের কথা প্রচারিত হতে শুরু হলে আরকাত্তি ব্যবস্থা বন্ধ হয়।

রিয়াদ মাহমুদ ও আলিদা বিনতে সাকি লিখেছেন, চা শ্রমিকদের ওই অভিবাসন ছিল অনেকটা দাস ব্যবসার মতো। প্রতারণার মাধ্যমে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। তাদের নিজেদের লোকজনই অর্থের বিনিময়ে ওই মানুষদের বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। নিয়ে আসা শ্রমিকরা ছিলেন চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাসের মতো। তাদের নিজেদের লোকজনই তাদের বিক্রি করে দিয়েছেন।

”বাগান মালিকরা তাদের সম্পত্তি বলে মনে করতেন, মালিকরাই তাদের স্বাধীনতা নির্ধারণ করতেন, তাদের বিভিন্ন বাগানে আনা-নেয়া করা হতো। তাদের এমনকি বাগানের বাইরে যেতে দেয়া হতো না। তারা এখানে এসেছিলেন উন্নত জীবনের আশায়, কিন্তু এখানে এসে সারাজীবনের জন্য বন্দী হয়ে পড়েন। তাদের হয়তো কারাগারে আটকে রাখা হয়নি, কিন্তু দাসের চেয়ে তাদের অবস্থা ভালো ছিল না।”

ব্রিটিশরা শুরুর দিকে এভাবে শ্রমিকদের নিয়ে এসেছিলেন। তারপর আর তাদের আনতে হয়নি। কারণ এই শ্রমিকদের সন্তানরাই পরবর্তীকালে বংশপরম্পরায় চা বাগানের কর্মী হিসাবে কাজ করতে থাকে। এমনকি পরবর্তী দুই শতকেও সেই পরিস্থিতির বদল হয়নি।

বাংলাদেশের চা শিল্পের ভেতরে থাকা আধুনিক দাসত্ব প্রসঙ্গে বর্ণনা করতে গিয়ে ব্রিটিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ”দেড়শ বছর পরেও তারা বাংলাদেশের মূল সমাজের সঙ্গে তাদের সংযোগ খুবই সামান্য। শিক্ষা আর চাকরি সুযোগের অভাবে তারা চা বাগানের পরিবেশই আটকে রয়েছে। চা বাগানের বাইরে অচেনা একটি দেশে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয় তাদের অদৃশ্য একটি শিকলে চা বাগানের মধ্যে আটকে রেখেছে। ”

জন্মভূমিতে ফেরার শেষ চেষ্টা

নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আসার পর নতুন পরিবেশে এসে নতুন আরেক লড়াইয়ের মুখোমুখি হন চা শ্রমিকরা। নতুন ধরনের আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী, রোগব্যাধির মুখোমুখি হতে হয় তাদের। বনজঙ্গল কেটে চা বাগান তৈরি করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক বুনো প্রাণীর হামলায় বা রোগে মারা যায়।

আঠারোশ পয়ষট্টি এবং ১৮৮২ সালে এমন আইন করে ব্রিটিশ সরকার, যার ফলে কোন শ্রমিক বাগান থেকে পালিয়ে গেলে তাকে কোন পরোয়ানা ছাড়াই বন্দী করে রাখতে পারবে বাগান মালিকরা। মারধর করা, আটকে রাখা বা অপহরণ করাকে একপ্রকার আইনি বৈধতা দেয়া হয়।

ব্রিটিশ সরকারে বিরুদ্ধে যখন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়, তখন এই অমানবিক পরিবেশে অতিষ্ঠ চা শ্রমিকরা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।

উনিশশো একুশ সালের ২০শে মে ১২,০০০ চা শ্রমিক জন্মভূমিতে ফেরত যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট ও আসামের বিভিন্ন বাগান থেকে এসে চাঁদপুরে জড়ো হন। সেখান থেকে স্টিমারে করে গোয়ালন্দে পৌঁছে রেলে করে তারা জন্মভূমিতে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তখনকার ইউরোপিয়ান টি এসোসিয়েশন ও স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট। তাড়াহুড়ো করে স্টিমারে উঠতে গিয়ে অনেকে পদদলিত হয়ে মারা যান।

‘হিস্টরি অব টি গার্ডেনস অ্যান্ড টি ওয়ার্কার্স অফ বাংলাদেশ’ বইয়ে রিয়াদ মাহমুদ ও আলিদা বিনতে সাকি লিখেছেন, বাকিরা আর বাগানে না ফিরে চাঁদপুরে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানে তাদের মধ্যে কলেরা ছড়িয়ে পড়ে।

তখন সরকার কলেরা ঠেকানোর নামে বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করে। রাতের বেলায় গুর্খা সৈন্যরা তাদের ওপর হামলা করে এবং গুলি চালায়। সেদিনই প্রায় ৩০০ চা শ্রমিক নিহত হয়। সেই ঘটনার পর থেকে আর কখনো নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেনি চা শ্রমিকরা।

চা বাগান মালিকরা অন্য বাগানের শ্রমিকদেরও এই বার্তা দিয়ে দেন যে, তারাই তাদের মালিক, খাদ্য এবং আশ্রয় দিয়েছেন ফলে তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না। যারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের কী হবে, এটি যেন তারই বার্তা দেয়া হয়,উল্লেখ করা হয়েছে রিয়াদ মাহমুদ ও আলিদা বিনতে সাকির বইতে।

সর্বশেষ অভিবাসী চা শ্রমিকের দল

এরপরে বিভিন্ন সময় চা বাগানের চাহিদার কারণে সর্দারদের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট দলে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়।

বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের সর্বশেষ দলটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল ১৯৪৬ সালে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।

উনিশশো সাতচল্লিশ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর সিলেট ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকরা পূর্ব পাকিস্তানে থেকে যান। এরপর থেকে তাদের বংশধররাই এখনো দেশের চা বাগানগুলোয় কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও এই শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে যুদ্ধের সময় এসব বাগানে অবস্থান নিয়ে ছিলেন এবং এই শ্রমিকরা তাদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তারা এই দেশের নাগরিক হিসাবে পরিগণিত হন।

সূত্র: বিবিসি

Exit mobile version