parbattanews

ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার হাতছানি

ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়। আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পেতে তা কম অবদান রাখার কথা নয়। এখন তো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার হাতছানি। সেই লড়াইয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে দুপুর সোয়া একটায় ভুটান বাধা পেরিয়ে ট্রফি ছোঁয়া দূরত্বে পৌঁছাতে চাইছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

সেই লক্ষ্যে ভুটানের বিপক্ষে অতীত রেকর্ড বেশ আশা জাগানিয়া। ২০১০ সালে প্রথম দেখায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা তাদের গোলের মালা পরিয়ে (৯-০) জিতেছিল! ২০১২ ও ২০১৯ সালেও জয়ের ধারা ছিল অব্যাহত। জয় এসেছে ১-০ ও ২-০ ব্যবধানে। এখন তাদের হারিয়েই ২০১৬ সালের পর আবার ফাইনালে খেলার লক্ষ্য।

তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করে লাল সবুজ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কোনও দলকেই এখানে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ভুটান নিজেদের প্রমাণ করে সেমিফাইনালে উঠেছে। তাদের বিপক্ষে পুরো শক্তি দিয়ে আমরা খেলবো। বিশ্বাস করি, এই ম্যাচে জয়লাভ করার সক্ষমতা আছে আমাদের। ভালো খেলে আমরা ফাইনালে উঠতে চাই।’

অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও কোচের সুরে কথা বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আগামী ম্যাচে নিজেদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করবো। আশা করি আমরা জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারবো।’

টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক আছে সাবিনা খাতুনের। স্ট্রাইকার পজিশন হলেও কাঠমান্ডুতে একটু পেছন থেকে দলকে খেলানোর চেষ্টা করছেন। গোল করানোর পাশাপাশি এর উৎসমুখেও আছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার। সাবিনার লক্ষ্য, ‘সব ম্যাচেই আমার লক্ষ দলের জন্য ভালো কিছু করার। ব্যক্তিগতভাবে ভালো করতে হবে এমন কিছু ভাবি না। দলের যেটাতে ভালো হবে, সেটাই করতে চাই। গোল করার লক্ষ্য তো থাকেই। আগামী ম্যাচেও চাইবো ভালো কিছু করতে।’

ভুটান এই প্রথম সেমিফাইনালে খেলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোচের অধীনে আগের চেয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ তারা। তাই বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা সহজ হবে না।

Exit mobile version